দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । কবি যথার্থ কথাই বলিয়াছেন,— “ আপাত মধুর পাপ, কাৰ্য্যকালে বটে, পরিণামে পরিতাপ, অবশ্যই ঘটে ” । অতএব বৎস, পরিণাম চিন্তা কর; তাই না হইলে, কেবল অনুতাপ ও অশ্রুবৰ্মণই সার হইবে। অনন্তর বৃদ্ধ বারবনিতাদিগকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেন, মাগো ! তোমরাও সাবধান হও ; এ সব তামোদ-প্রমোদ অসার ; রূপ-যৌবনের ভাটার সঙ্গে সঙ্গেই, এই সকল বঁধুর অন্তৰ্দ্ধান ঘটিবে ; অবশেষে, কুষ্ঠ কি উপদংশ রোগগ্রস্ত হইয়া, অসহায়াবস্থায় দিন-যাপন করিবে । রাধারাণীর দাসী হবে ত শ্ৰীধাম বৃন্দাবনবাসিনী হও ; এখনও ব্রজেশ্বরী তোমাদিগকে ক্ষম করিতে পারেন । “মাগো ! আমি চলিলাম ; তোমরা এখন পথে এস,” এই বলিয়া, বৃদ্ধ অদৃশ্য হইলেন । ভদ্রলোক ও বারবনিতাগণ বিস্মিত ও মৰ্ম্মাহত হইয়া, পরস্পরের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতে লাগিল এবং বৃদ্ধ যে নিশ্চয়ই মানবী নহেন, ইহা চিন্তা করিতে করিতে, স্ব স্ব গৃহে প্রত্যাগমন করিল। অতঃপর, একটি মৰ্ম্মভেদী দৃশ্ব তাহার দৃষ্টিপথে নিপতিত হইল । তিনি দেখিলেন, রাত্রি দুই ঘটিকার সময়ও, স্থানে স্থানে বারবিলাসিনীগণ, পথি-পাশ্বে দণ্ডায়মান । আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ; মৃদু মৃদু বারি-বর্ষণ ও বজধ্বনি হইতেছিল। এই সময়, তিনি ২৩৫
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।