দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । এক বৃদ্ধব্রাহ্মণ বেশে, তাহাদিগকে বলিলেন, “মাগো ! এই কি মাতা পিতার আদরের ধন গুহ-লক্ষনীদের পরিণাম ! এই কি অসূর্যাম্পশু, স্বামীর অঙ্ক-শোভিনী রমণীর ভাগ্য ! মা গো ! কুলোকের প্ররোচনায় ও প্রলোভনে, কুলে জলাঞ্জলি দিয়া, পিশাচীর ন্যায় জীবন-যাত্র নির্ববাহ করিতেছ। মা, গৃহে যাও, শ্ৰীবৃন্দাবন স্বামীর আশ্রয় লও ; শ্ৰীধাম যাওয়ার পাথেয় দিলাম,” এই বলিয়া বৃদ্ধরূপী নারায়ণ, প্রত্যেককে পচিশটি করিয়া টাকা দিয়া, স্থানান্তবে গমন করিলেন । বারবিলাসিনীগণ অনুতপ্ত হইল এবং অশ্রুবৰ্মণ করিতে করিতে স্বস্ব কুটীরে প্রস্থান করিল। ৫। দুর্ভাগ্য কেরাণীকুল। নারায়ণ, কেরাণীকুলের দুর্দশ দর্শন করিয়া, পরিতপ্ত হইলেন । অনস্তর, এই চিন্তা, তাহার মনে উদিত হইল, হায় ! অধিকাংশ কেরাণী বিশ হইতে ত্রিশ টাকা মাহিয়ানা পায় । এই সামান্য অর্থের জন্য, তাহার যেরূপ লাঞ্ছিত ও অবমানিত হয়, তাহা কেবল এই অভিনব ভারতেই সস্তুবে । তাহাদিগকে, দৈনিক অনূ্যন আট দশ ঘণ্টা অবিশ্রান্ত পরিশ্রম করিতে হয় । সামান্য খেলনার দরে, অমূল্য সময়-রত্ন, একরূপ বিক্রীত হয় । মা ! ভারত-ভূমি ! তুমি এরূপ হীনাবস্থায় উপনীত হইয়াছ যে, তোমার সন্তানগণ, এই সামান্য অর্থকেই, মূল্যবান সামগ্ৰী বলিয়া মনে করে । হায় ! একটি মৰ্ম্মভেদি-কবিতা, মনে পড়িল :– ఫి లుఫ్రి
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।