দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । গো-বধ আর মাতৃ-বধ একই কথা । এই কি মায়ের অমৃতময় দুগ্ধ দানের ফল ! কিম্ব, প্রখর সূর্য কিরণে, বৃষ ও বলদের ভূমিকর্ষণের পরিণাম ! প্রতিদিন যে কত সহস্ৰ গো-বধ হয়, তাহ নির্ণয় করা সুকঠিন ! গোজাতির অভালে, ভূমি উপযুক্ত পরিমাণে কৰ্ষিত হয় না এবং ভারত-সন্তানগণও উদর-পূর্ণ করিয, দুগ্ধপান করিতে পায় না ; কাজেই দুর্ভিক্ষ এবং শারীরিক ও মানসিক দৌৰ্ব্বল্য সর্ব ন বিরাজমান ! মাতৃবধ, আর জন্মভূমির সর্বনাশ সাধনই, যাহাদের জীবনের ব্রত, তাহারাই কলির উপযুক্ত সস্তান ! পক্ষান্তবে আবার ভাৰত-ভূমি, নিরীহ ছাগাদি পশু বধের মহাপাপে, দিন দিনই ভারাক্রান্ত হইতেছেন। “যজ্ঞার্থে পশবঃ সৃষ্টাঃ” এই বাক্যের প্রকৃত অর্থ, আর গৃহীত হয় না। এখন কেবল মাংস লোলুপতাই, ছাগাদি পশু বধেৰ একমাত্র কারণ বলিয়া অনুমিত হয় । অধিকাংশ মানলই পশুভাবাপন্ন ; কাজেই, আমিষ-ভক্ষণে একান্ত অভিলাষী । অধিকাংশ মানবেরই ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম জ্ঞান, কি ভাল মন্দ বিচার নাই, কেবল উদর-পূর্তি সাধনই এক মাত্র লক্ষ্য । আমার প্রিয় মাড়োয়ারিগণ ধন্য ; পশুক্লেশ নিবারণের জন্য, তাহারা অকাতরে অর্থব্যয় করে ; রুগ্ন ও অকৰ্ম্মণ্য অশ্ব ও গবাদি রক্ষার জন্য তাহারা “পিঞ্জিরা পুল” নামে যে পশুশালা স্থাপন করিয়াছে, তাহা দশন করিয়া পরমানন্দ লাভ করিয়াছি । “অহিংস পরমোধৰ্ম্মঃ” এই বাক্যের অর্থ, তাহার বেশ বুঝিয়াছে, পক্ষান্তরে, তাহারা মাংসাশী মানব হইতে অধিকতর স্বস্থ পরিদৃষ্ট হয়। এই সকল চিন্তার পর, নারায়ণ,
- 8 >