দেবগণের অভিনব ভারত-দশন । সকলে একই মন্ত্রের উপাসক। যাত্রীগণ কর্তৃক দেবীর নিকট উৎসর্গীকৃত মিষ্টান্নের সিকি অংশও, প্রসাদরূপে তাহদের নিকট প্রত্যপিত হয় না । দোকানদারগণ, দুই পয়সার দ্রব্য দ্বার, আট পয়সা গ্রহণ করে । ভিক্ষুকের দল, কলে, বলে, ছলে, অনুনয়-বিনয়ে, অর্থ-আদায় করিবার জন্যই ব্যস্ত ! কেবল অর্থ ! কেবল অর্থ ! অর্থ ভিন্ন, পরমার্থের দিকে, অতি অল্প লোকেরই লক্ষ্য । যাত্ৰীগণ ও হুজুগে মত্ত ; প্রকৃত মাতৃ-ভক্ত যাত্রী অতি বিরল ! দেবালয়ের সেবকগণেরও, ভক্তি অপেক্ষ, অর্থ-লোভই প্রবল। ভারত-ভূমি ! আবার শুক, বেদব্যাস, যুধিষ্ঠির ও অৰ্জুনের ন্যায় পুত্ৰগণকে প্রসব কর না কেন মা ! আবার ভক্ত ও কৰ্ম্মী পুত্ৰগণ তোমার ক্রোড়দেশে বিরাজ করুক ; মা ! তুমি সুখী হও, আমারও সস্তপ্ত প্রাণ শীতল হউক ৷” ৯। বিদ্যালয়। নারায়ণ, সংস্কৃত, বাঙ্গালা ও ইংরাজী শিক্ষার যাবতীয় বিদ্যালয় পরিদর্শন করিয়া, সাতিশয় আনন্দ-লাভ করিলেন । অনন্তর, এই চিন্তা-প্রবাহ, তাহার মনে উদিত হইল,—আহা ! শিক্ষার বন্দোবস্ত কি সুন্দর । কিন্তু দুঃখের বিষয়, অতি অল্প ছাত্রই ইহার মৰ্ম্ম-গ্রহণে সমর্থ চরিত্রের উৎকর্ষ-সাধনই শিক্ষার মুখ্য বিষয়, তার, অথোপার্জন, গৌণ বিষয় বলিয়া, পরিগণিত। ভারতীয় বিশ্ব-বিদ্যালয়ের অধীন ধৰ্ম্ম, আয়ুৰ্বেদ, জ্যোতিষ ও শিল্প-বিজ্ঞান-বিদ্যালয়ও স্থাপিত হওয়া আবশ্যক। Հ8 Ց
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৬০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।