দেবগণের অভিনব ভারত-দশন । উপদেশ প্রদান করিতে অভিলাষী হইলেন । এই অভিপ্রায়ে, তিনি, এক জ্যোতিৰ্ম্ময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ-বেশে ছাত্রাবাস সমূহে গমনপূর্বক তাহাদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিতে লাগিলেন, “বৎসগণ ! আমি তোমাদের ঠাকুর দাদা অপেক্ষাও বড় ; আমার অভিজ্ঞতা ও খুব বেশী ; আমি, তোমাদিগকে কয়েকটি কথা বলিতে আসিয়াছি, মনোযোগ পূর্বক শ্রবণ কর । বৎসগণ, - তোমরা দেশের গৌরব ; সমাজের আশাস্থল ; ভারত-মাতার বড়ই দুৰ্দ্দিন অধৰ্ম্ম, অভাব ও অশান্তি এবং মিথ্য, প্রবঞ্চন ও ব্যভিচারের প্লাবনে দেশ ডুবিয়া গেল ! দেশের এই সকল আবর্জনাজাল দূর করিতে, কেবল তোমরাই সক্ষম, অন্য কেহই নহে । তোমরা আঘা-ঋষির সন্তান ; তাহদের ভক্তি, প্রীতি ও সরলতা চির-প্রসিদ্ধ ; তাঙ্গদের প্রদর্শিত পথের অনুবন্তী হইও । রাজা, দেবতা ; সাধারণ মনুষ্য নহেন ; অতএব রাজাধিরাজ ইংরাজরাজের প্রতি অটল ভক্তি রাখিও । কেবল আক্ষরিক বিদ্যা শিক্ষা করি ও না, ব্রহ্ম-বিদ্যা শিক্ষার ও একান্ত প্রয়োজন। ব্রহ্ম-বিদ্যা না থাকিলে, বি, এ, এম, এ পাশের প্রশংসা-পত্র সকলও কেবল অর্থোপাজ্জনের সহায় বিশেষ বলিয়৷ বিবেচিত হয়। এক দিনের জন্যও পিতা মাতার মনে, অশান্তি আনয়ন করি ও না ; তোমরা, তাহাদের বহু যত্ন ও সাধনালব্ধ ধন । তোমাদেরমুখ-চন্দ্র দর্শনে, তাহারা, পৃথিবীর দুঃখরাশি অম্লান-বদনে সহ করেন। আর একটি কথা বলিতেছি, সেই দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখিও চরিত্র যেন কখনও কলুষিত না হয় এবং a.8br
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।