পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । বেশে, তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া বলিতে লাগিলেন,— “বউ মা ! কয়েকটি কথা বলিতে আসিয়াছি ; শুনিবে কি ? তোমার স্বভাব-দর্শনে, যারপর নাই দুঃখিত হইলাম । মা ! তুমি, সংসারের কোন কাজকৰ্ম্ম কর না, কেৰল, বেশ-বিন্যাসেই ৰ্যস্ত। তুমি গৃহস্থের বধ, গৃহের লক্ষী ; তোমার এরূপ ভাব শোভা পায় কি ? বিলাস-ভোগের জন্য, প্রতিমাসে রমেশের মাহিয়ানার অৰ্দ্ধাংশ গ্রহণ কর ; মা, ইহাতে তাহাব বড় কষ্ট হয় ; তোমার নিজের জন্য পাঁচ টাকা মাত্র রাখিয়া, অবশিষ্ট টাকা ংসারের উন্নতি কল্পে ব্যয় করিতে দিও । রমেশ দিব-রাত্রি পরিশ্রম করে, কিন্তু কোন পুষ্টিকর খাদ্য তাহার ভাগ্যে ঘটে না ; ইহাতে তোমার দুঃখ-বোধ হয় না কি ? এরূপ ভাবে থাকিলে সে কতদিন বাচিবে ? তোমার শাশুড়ীর বয়স, প্রায় সত্তর বৎসর,—কমলা, বাল-বিধবা ; তাঙ্গর ঝি ও পাচিকার স্যায় কাৰ্য্য করেন । ইহাতে তুমি মহাপাপ সঞ্চয় করিতেছ। মা ! এক্ষণে র্তাহাদিগকে বিশ্রাম করিতে দাও । জীবন কৰ্ম্মময় ; কৰ্ম্ম না করিলে, আর জীবনের মূলা কি ? খাওয়া, পরা, পান-সাজা, আর বেশ-বিন্যাস ভিন্ন, তুমি কি কাৰ্য্য কর, বল ? আলমারী-ভরা ফুলেল তৈল, আর পোষাক-পরিচ্ছদের কি দরকার ? শরীরের সৌষ্ঠব-সাধনাপেক্ষা, আত্মার সৌন্দৰ্য্য-বিধানে, অধিকতর যত্ন করিতে হয়। আত্ম—পার্থী ; তার শরীর— পিঞ্জর। এ দু'য়ের মধ্যে কোনটি বেশী ভাল হওয়া দরকার, বল দেখি ? পার্থীটি, কি পিঞ্চরটি ?” ૨{t ર