দেবগণের অভিনব ভারত-দশন । আর সূয্যের স্তবও পাঠ করিবে। এই সকল স্তবপাঠে যে, কি আশ্চৰ্য্য ফল-লাভ হয়, তাহ, কতিপয় দিবস পরে বুঝতে পরিবে। মনটি আবৰ্জ্জনায় পূর্ণ করিও না । সরল, সহিষ্ণু ও ক্ষমাশীল হও । “ভগবন ! অপরাধ মার্জন কর,” সপবদা এরূপ প্রার্থনা করিও । মা ! আমি চলিলাম ; আশীৰ্ব্ববাদ করি, গৌরীর স্যায় স্বামি-সোহাগিনী, সুখময়ী ও শান্তিময়ী হও । বধু, বুদ্ধার পদধূলি লইতে লইতে বলিল, “মা ! আপনি আমাকে রক্ষা করিলেন ; আপনার ঋণ কখনও শোধ করিতে পারিব না ; দয়া করিয়া, সময় সময়, দেখা দিবেন, এ পাপীয়সীর কথা, লোক-সমাজে প্রকাশ করিবেন না ।” “ন, মা ! কাহারও নিকট বলিব না, তুমি গৃহ-আলোকরা-ধন, স্বামী গৃহ আলোকিত কর,” এই বলিয়া বৃদ্ধ স্থানান্তরে গমন করিলেন । বধূ, তাহাকে গাঁহারের নিমন্ত্ৰণ করিল, কিন্তু, তিনি, তাহা গ্রহণ করিলেন না । অনন্তর, নারায়ণ, অলক্ষ্যভাবে বৃন্দাবন চক্ৰবৰ্ত্তীর বাটতে উপস্থিত হইলেন ; দেখিলেন, তিনি অন্ধ, তাহার স্ত্রীও বৃদ্ধ ; তাহার পুত্র দুটি, গোপাল ও ভূপাল; উভয়েই সুবোধ ও সুশীল ; বি, এ ক্লাসে পড়িত ; কনিষ্ঠ ভূপাল বিশেষ যোগ্যতার সহিত পাস করিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ, গোপাল অকৃতকাৰ্য্য হওয়ায় দুঃখ ও লজ্জায়, মিয়মাণ হইল ; তাহার নিকট জীবন অসার ও দুবলহ বলিয়া বোধ হইতে লাগিল । অবশেষে, সে, অহিফেনসেবনে প্রাণ-নাশ করিবে, এরূপ সঙ্কল্প করিল। २७२.
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৭৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।