পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দশন । একদিন রাত্রি দ্বিপ্রহরেব সময়, সে জীবন-নাশের চেষ্টা করিতেছে, এমন সময় নারায়ণ, এক বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ-বেশে, তাহার নিকট উপস্থিত হইয়া, ব্যজন করিতে করিতে, তাহাকে বলিলেন, “বৎস গোপাল ! এ কি ? তুমি না একজন ধৰ্ম্ম-পরায়ণ ছাত্র ! তোমার এরূপ পাপবুদ্ধি কেন! আত্মহত্যা যে মহাপাপ, তাহা কি তুমি জান না ! ছিছি ! এরূপ দুৰ্বলতা কেন । জীবনে কত পরীক্ষা দিবে ! জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত কেবল পরীক্ষা ! এই সামান্য পরীক্ষায়, অপারগ হইয়াছ বলিয়া, এত দুঃখিত! কিন্তু দেখ, আমরা জীবন ভরিয়া কত যে পরীক্ষা দিলাম, তাহার সংখ্যা নাই ! কিন্তু, অধিকাংশ পরীক্ষাতেই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারি নাই, তথাপি, কখনও কৰ্ত্তব্য-ভ্রষ্ট হই নাই, আশায় বুক বাধিয়া, কাৰ্য্য করিয়া আসিতেছি । বৎস ! স্থির হও, উৎসাহ ও উদ্যম সহকারে, আবার পড়িতে আরম্ভ কর ; অবশ্যই তোমার শ্রম সফল হইবে । বৎস! জীবনটি স্থখ-দুঃখের ক্রীড়া-ভূমি ; জীবনে কখনও, সূৰ্য্যালোক-দর্শনে, আনন্দ-লাভ করিবে, আবার কখনও, অমানিশার ঘোরান্ধকারে দিশাহার হইবে ; কখনও “হাতী” আবার কখনও “মশার” ন্যায় জীবন-যাপন করিবে । অতএব, বৎস ! হতাশ হইও না । বোপদেব গোস্বামীর নাম শুনিয়াছ কি ? তিনি নিরেট মুখ ছিলেন ; নিতান্ত অপদার্থ ছাত্র বলিয়া, চতুষ্পাঠী হইতে তাড়িত হন ; পরে, পুনঃ পুনঃ কলসী-স্থাপনে পুষ্করিণীর ক্ষীয়মান সোপান দর্শনে, তাহার মনে আশার আলোক উপস্থিত হইল ; তিনি উদ্যম ও অধ্যবসায় সহকারে পুনরধ্যয়নে প্রবৃত্ত ই ৬৩