দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। হইলেন। অবশেষে, দেখ, সেই বোপদেব, “মুগ্ধ-বোধ” নামক দুবোধ সংস্কৃত ব্যাকরণও রচনা করিতে সমর্থ হইয়া ছিলেন। দেখ, যেমন পাকস্থালী ভুক্তত্রব্য পরিপাক করে, সেইরূপ, মনেরও একটি পরিপাক-শক্তি আছে ; যাহার মনের পরিপাক শক্তি দুর্বল, সেই ক্রোধী ও অসহিষ্ণু ; আর, এই শক্তি যাহার প্রবল, সে যাবতীয় মৰ্ম্ম-পীড়া নীরবে সহ করে, প্রায়ই বিচলিত হয় না। অতএব বৎস · মনের পরিপাক শক্তি বৃদ্ধিকর।” এই সকল কথা শ্রবণ করিয়া, গোপাল উত্তর করিল, “ঠাকুর, আপনি নিশ্চয়ই দেবতা ; আমার ন্যায় মহাপাপীর রক্ষার জন্যই, এই নিশাকালে এস্থানে আগমন করিয়াছেন । ঠাকুর । আমার অপরাধ মার্জন করুন। আমি, আর কখনও, এমন পাপ কাৰ্য্য করিতে প্রবৃত্ত হইব না; আশীৰ্ব্বাদ করুন, আমি যেন মনের পরিপাক শক্তি বৃদ্ধি করিতে পারি।” “ঙ্গ, অবশ্যই, নারায়ণ, তোমার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করিবেন । বৎস ! আমি চলিলাম ; ঈশ্বরের প্রতি অটল ভক্তি রাখিও,” এই কথা বলিয়া, নারায়ণ, সেই স্থান পরিত্যাগ করিলেন । গোপাল তাহার পদধূলি লইল এবং “ভগবন, অপরাধ মার্জন কর।” এই চিন্তা করিতে করিতে, অনতিকাল মধ্যেই নিদ্রা দেবীর কোমল ক্রোড়ে আশ্রয় গ্রহণ করিল।
- も8