দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। হায় ! এদেশে যে, কত যৌথ কারবারের উত্থান ও লয় হইতেছে, তাহার সঙ্খ্যা করা কঠিন ! “সতত৷” এদেশ হইতে একরূপ বিদায়-গ্রহণ করিয়াছে। অধিকাংশ লোকই, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রবঞ্চন ও স্বার্থপরতার দাস ; অনেকেই অংশীদিগের মস্তক চর্বণ করিয়া, আত্মোদর পূর্ণ করিতে ব্যস্ত এরূপ ভাব জাতীয় উত্থানের প্রধান অন্তরায় এবং সর্ববথা পরিবর্জনীয় । অতএব, ব্যবসায়ি-ভারত-সন্তান, কখনও, ব্যবসায়ে অসদুপায় অবলম্বন করিও না । অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করিয়া, লাভবান হইবে, এ ভাবটি, কখনও যেন মনে স্থান পায় না । নারায়ণ, এইরূপ চিন্তাকুল-চিত্তে, দক্ষিণেশ্বর কালীবাটতে প্রত্যাগমন করিলেন । দেবগণের পুনৰ্ম্মিলন ও দক্ষিণেশ্বর ত্যাগ। নাবদ ও গণেশ সন্ধ্যার পর দেবালয়ে উপনীত হইয়া, ঈশ্বরোপাসনা সমাপন করিলেন ; এমন সময়, নারায়ণও, তথায় উপস্থিত হইয়া, নিতান্ত কাতরভাবে বলিতে লাগিলেন, “বৎস ! কি বলিব, দুঃখে বুক ফাটিয়া যায় ! গণপতি, কলিকাতার আভ্যন্তরিক অবস্থা যেরূপ বর্ণনা করিয়াছেন, ইহা ততোধিক মৰ্ম্মভেদী ! ততোধিক ঘৃণিত ! নারদ তাহাকে প্রণামপূর্বক বলিলেন, “প্ৰভু, আপনার আদেশানুসারে, আমরা যথাসাধ্য হরিনাম প্রচার করিয়াছি, কিন্তু কোথাও, শুভ পরিবর্তন অনুভব করি নাই । মানবগণ, কেবল ঐহিক সুখ-সস্তোগেই ব্যতিব্যস্ত ?
- も。