দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । ইহকালের পর, আর একটি যে “কাল” আছে, এ ভাবটি, অতি অল্প লোকের মনেই উদিত হয় । হোটেলান্ন-গ্ৰহণ, অভিনব প্রণালীতে কেশ-কর্তন, মদ্য পান, বিলাস, বেশ্য-সেবা, কপটতা ও স্বর্থ-পরতা, অধিকাংশ লোকেরই অসারত্বের পরিচয় প্রদান করে । অধিকাংশ মানবেবই জীবন-লীলা, অশন, ভূষণ, শয়ন, আর, ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম জ্ঞান-শূন্য হইয়া অর্থোপার্জন, এই চতুবিধ বিষযেই পর্য্যবসিত হয়। যদি মানবগণ, হরিপরায়ণ ও ধৰ্ম্মশীল হইত, তবে, এই মনোরম স্থানের রমণীয়তা বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাইত । যাহা তউক, প্রভু, কোন ও চিন্তার কারণ নাই ; আমাদের সদ্যপদেশের শুভফল অবশ্যই ফলিবে । প্রভু, বৈকুণ্ঠে যাওযার পূর্বে তীর্থ স্থান সমূহ একবার দর্শন করিবেন কি ? “আচ্ছ। চল,” এই কথা বলিয়া, নারায়ণ নীরব হইলেন এবং আগামী কল্য প্রাতঃকালেই যাত্র করিবেন, স্থির করিলেন । অনন্তর, দেবগণ, মায়ের প্রসাদ গ্রহণ করিয়া, শয়ন করিলেন। “এইস্থান, কালে তীর্থ-স্থান রূপে পরিণত হইবে ; “রামকৃষ্ণ” ও তাহার শিষ্য বিবেকানন্দের দ্য্যায় সন্তান প্রসব করিয়া, ভারত ভূমি ধন্য হইয়াছেন ; তাহার শিষ্যগণ, জগজ্জয়ী হইবে এবং ভারতের “ অভিনব-ত্যাখ্যা” তাহাদের দ্বারা বহুল পরিমাণে বিদূরিত হইবে।” নারায়ণ, এইরূপ চিন্তা করিয়া আহলাদিত হইলেন। পরদিন প্রাতঃকালে দেবগণ মাকে প্রণাম করিয়া তীর্থ-দর্শনে যাত্রা করিলেন। २.१०
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/২৮৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।