দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । গণেশের গীত । ( গাইতে গাইতে হলধর বাবুর বাটীর দিকে অগ্রসর । ) Ş “এ মন বলরে গোবিন্দ নাম । আজি কালি করি, কি আর ভাবিছ, কবে তোর ঘুচিবেক কাম । কালি যা করিবা, তুমি যে বলিছ, আজি তা কর না ভাই, আজি যা করিব, তা কর এখনি, কি জানি কখন যাই । এ হেন কলিতে, মানুষ জনম, এমন তার বা কাতে, হরিনাম দিয়া, জগতে তারিল, শ্ৰীকৃষ্ণ-চৈতন্য যাতে । সে তিন যুগের, কাচার বিচার, এখন সে সব রাপ, বদন ভরিয়া, গৌর হরি বল, যুগের ধরম দেখ । রসনা-বদন, বশের ভিতরে, কেবল বলিলে হয়, আলিস করিয়া, নরকে যাইবে, কার ল এ অপচয় ? শমন-কিঙ্কর, অঙ্গুলি গণিছে, জান না কখন পড়ে, কহে প্রেমানন্দ, তখন কি হবে, আসিয়৷ চড়িলে ঘাড়ে।” R “বুড়া কি আর গৌরব ধর । এ ভব সংসার, সাগর তরিতে, হরিনাম সার কর । পাকিল কুন্তল, গায় নাহি বল, কাকলি হৈয়াছে বঙ্গা, হাতে নড়ি করি, যা ও গুড়ি গুড়ি, মুড়ি, পড়িবার শঙ্কা । কুড়ি পড়িবার,-ক্ষুদ্র প্রস্তর খণ্ডে হুচট খাইয় পড়িবার । ' *
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৩০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।