দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । অতএব হলধর বাবু, তুমি কামিনী কাঞ্চনের মায়া পরিত্যাগ পূর্বক, ধৰ্ম্মানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হও । এখনও তন্ময়ভাবে সেই প্রেমময়ের প্রীতিকর কার্য্য করিতে পরিলে, তাহার কৃপার কিঞ্চিৎ তাধিকারী হইতে পার । - মোহিনী আর ও বলিলেন ;--- বেণুৰ্বলং কর্কটকাশরম্ভ বিনাশকালে ফলযুদ্ধবন্তি, এবং নরা ভাগ্যবিনাশকালে দূতক মদ্যঞ্চ পরক্রিয়ঞ্চ । যেরূপ বাশ, নল, কাকড়া, কেশে ও কলাগাছ, বিনাশ-কালে ফল-প্রসব করে, সেই রূপ ভাগা-বিনাশ-কালে মনুষ্যগণ দূতে, মছে ও পরস্ত্রীতে হাসিক্ত হইয়া থাকে । তুমি নিজের বিপদ নিজেই ডাকিয় তানিয়াছ ; এক্ষণে এই বিপদ হইতে মুক্তি লাভ করিতে, বন্ত চেষ্টা আবশ্যক । যদি নিজের মঙ্গল চাও, তোমার সর্বনাশের মূল কুসংসর্গ পরিত্যাগ কর এবং সর্দল-শুভ-নিদান সাধুসঙ্গ আশ্রয় কর । দেখ, শত শত উপায় ও উপদেশ দ্বারা যাহা সম্পাদন করিতে পার না যায়, এক সাধু সঙ্গের প্রভাবে, তাত সহজেই সংসাধিত হইয় থাকে । সমুপদেশ, সৎকার্ম্যে প্রবৃত্তি জন্মায় বটে, কিন্তু, সৎ সংসর্গ ভিন্ন, ঐ প্রবৃত্তি কার্ম্যে পরিণত হয় না । পণ্ডিতগণ সাধুসঙ্গের গুণ এইরূপ বর্ণনা করিয়াছেন ;-- জাডাং ধিয়ো হয়তি সিঞ্চতি বাচি সত্যম্, মানোন্নতিং দিশতি পাপমপাকরে তি, S."
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।