দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । প্রবঞ্চনা, অন্যায় ও অত্যাচার স্বপ্নবৎ প্রতীয়মান হইত ! “মাতৃবং পরদারেষু, পরদ্রব্যেমু লোষ্ট্রবৎ,” এই মহাবাক্য যে দেশের লোকের হৃদয়ে মূলমন্ত্রের ন্যায় নিহিত ছিল, সে দেশের লোকের মানসিক অবস্থা সন্দর্শনে, আজ কাহার না হৃৎকম্প উপস্থিত হয় ? ধিক্ তোমাদের ধন-গৌরবে ! ধিক তোমাদের জ্ঞান-গরিমায় ! ধিক তোমাদের পদ-মৰ্য্যাদায় ! মোহিনীর কথা শুনিয়া শ্রোতৃমণ্ডলী চিত্রাপিতের ন্যায় বসিয়া রহিল । যখন তাহাদের জ্ঞান হইল, দেখিল, মোহিনী অন্তহিঁত ! মোহিনী সভা-স্থলে নাই ! মোহিনীর জন্য চারিদিকে লোক প্রেরিত হইল ; কিন্তু, কোথায়ও তাহার কোন সন্ধান পাওয়া গেল না । সকলে ভীত, চকিত ও স্তস্তিত হইল । এই অলোক-সামান্য রমণী-মূৰ্ত্তির অন্তর্ধান দেখিয়া, গণপতি ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন,—বলিলেন, “মা ! আবার আসিবে কি ? আবার এরূপ মোহময় মধুর কণ্ঠ-বিনিঃস্বত-বচনামৃতবর্ষণে, এই মৃত-কল্প ভারত-সন্তানকে নবজীবনী-শক্তি প্রদান করিবে কি ? মা ! আমাদের সে সাধনা নাই, তাই তোমায় পূজা করিতে পারিলাম না! আমরা নিতান্ত ভাগ্যহীন, তাই তোমায় রাখিতে পারিলাম না ! গুহ-লক্ষীগণ, তোমরাই মোহিনী-মুৰ্ত্তি ধারণ করিয়া, স্বস্ব বিপথগামী পতি-পুত্রকে স্থপথে আনয়ন কর মা ! এই অধঃপতিত দেশের উদ্ধারের ভার, আজ তোমাদের হস্তেই সমপিত হয়েছে মা !” Wo
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।