দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । সমাজের কলঙ্ক গ্রাম্য দেবতাগণ” পরানিষ্ট-সাধনের মন্ত্রণায় রত হয় ; পক্ষান্তরে ভগবস্তুক্ত মহাপুরুষগণ নিশ্চিন্তমনে ভগবানের উপাসনা করেন। এইরূপ যাহার মনে যে ভাব প্রবল, সে তদনুরূপ কাৰ্য্য করে। যেই মাত্র রাত্রি প্রভাত হইল, অমনি তুমি দেখিবে, যে ব্যক্তি নিতান্ত দুশ্চরিত্র, চোর, দস্থ্য, লম্পট, এইমাত্র বারবনিতার গৃহ হইতে প্রত্যাগত, সে একজন ভদ্রবেশধারী বিশিষ্ট ভাল মানুষ ; কে বলিবে, এ লোক নরকের কীট, কুলের কলঙ্ক ও ভদ্রসমাজে স্থান পাওয়ার অযোগ্য ? তাহার বুদ্ধি-কৌশল সন্দর্শনে ও জ্ঞানগর্ভ উপদেশ শ্রবণে, তুমি কতই না বিস্মিত হইবে ? নিশীথে যে রমণী পিশাচী ছিল, প্রভাতে তুমি দেখিবে, সে একজন সতী-সাধবী লজ্জাশীল কুলমহিলা, সে তোমার নিকট দিয়া একহাত ঘোমটা টানিয়া চলিয়া যাইবে, তুমি তাহার কতই না প্রশংসা করিবে ? কে বলবে তাহার অন্তঃকরণে পাপের প্রস্রবণ চির-প্রবাহিত ? কে বলিবে, এই পাপীয়সী, সমাজ হইতে বহিষ্কৃত হওয়ার যোগ্য ? পক্ষান্তরে, রাত্রিকালে যে মহাপুরুষ ভগবানের উপাসনায় নিমগ্ন ছিলেন, তিনি প্রভাতকালে দীন-হীন পথের কাঙ্গালের ন্যায় চলিতে লাগিলেন । কে বলিবে, তাহার অন্তঃকরণ, ভগবৎ প্রেমের অমৃতধারায় পরিপূর্ণ ? এই সকল কারণে, নারায়ণ, গভীর চিন্তার পর, এই নিশীথকালই মানব-চরিত্র-পরিদর্শনের প্রকৃত সময় বলিয়া স্থির করিলেন। ↑Ꮢbr
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।