প্রথম দৃশ্য। কাল-ভুজঙ্গী। ঘোষালদের বাটতে এক কাল-ভুজঙ্গা আছে ; নাম বিমলা । বিমলা যমুনাথ ঘোষালের পত্নী। পত্নীর দুর্ব্যবহারে মৰ্ম্মাহত হইয়া, যদুনাথ বাস-ভবন একরূপ পরিত্যাগ করিয়াছিলেন। তিনি আজ চারি বৎসর পর বাটতে আসিয়াছেন ; রাত্রিজ্ঞে আহারের পর, পিতা, মাতা, ভ্রাতা ও ভগিনীদের নিকটস্থ দীর্ঘ প্রবাসের নানারূপ সুখ দুঃখের কথা বলিতে লাগিলেন ; বলিতে বলিতে রাত্রি অনেক হইল ; প্রকৃতি নীরব ও নিস্তব্ধ হইল ; ক্রমে ক্রমে গ্রাম্য চৌকিদারগণের “বস্তিওয়ালা খবরদার” শব্দ লয় পাইতে লাগিল। যদুর পিতা বলিলেন, “এখনু শোও গিয়ে, রাত্রি অনেক হয়েছে ; আবার কাল শুনিব।” অনন্তর সকলেই স্ব স্ব গৃহে শয়ন করিতে গেলেন। এই সময় নারায়ণ, অলক্ষ্যভাবে যদুর শয়ন-গৃহে উপস্থিত হইলেন ; দেখিলেন, স্বামী স্ত্রী বিষন্নমনে শয্যার দুই পাশ্বে নীরৰ ও নিম্পন্দ ভাবে বসিয়া রহিয়াছে। অনেকক্ষণ পর যদু জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিমল, কেমন আছ ?” বিমলা নীরব । যদু পুনরায় বলিলেন, 8苓
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।