এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । যাহার ভাৰ্য্য, কুনেত্রী, কদাচারিণী, কলহ-প্রিয় এবং সমান সমান উত্তরদায়িনী, সেই ভাৰ্য্যাই তাহার জরা ; বাৰ্দ্ধক্য জরা নহে । পণ্ডিতগণ আরও বলেন,— যস্য ভাৰ্য্যা শ্রিতান্যত্র পরবেশ্মাভিকাক্ষিণী, কুক্রিয়া ত্যক্ত লজ্জা চ সা জরা ন জরা জুরা। যাহার ভাৰ্য্যা অন্তের আশ্রয় ও পরের গৃহ অভিলাষ করে, , কুক্রিয় রত ও লজ্জাহীন, সেই ভাৰ্য্যাই তাহার জরী ; প্রকৃত বর্থিক্য জরা নহে । মা ! ভারত-ভূমি ! তোমার দুহিতৃগণের সেই শাস্ত্র-কথিত গুণ-রাশি কোথায় গেল ! তাহাদের সে হাস্য-মুখ, মিষ্টভাষা, লজ্জা, ধৈর্য্য, বিনয়, পতি-ভক্তি ও চরিত্রের মধুর আকর্ষণী শক্তিই বা কোথায় গেল ! মা ! রত্ন-প্রসবিনি এক্ষণে কেবল অঙ্গর-রাশি উদরে ধারণ কর কেন মা !” এইরূপ চিন্তা করিতে করিতে, নারায়ণ, মৃদু-মুখ ও অধোবদনে, গুহান্তরে গমন করিলেন ।