দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । রুগ্ন, কলহপ্রিয়া, চৌর্য্য-অপরাধে অপরাধিণী এবং বন্ধ্যা হয়, তাহা হইলে, স্বামী তাহাকে ত্যাগ করিতে পারেন। পতি-ত্যক্ত স্ত্রী, বড়ই দুর্ভাগ্য ; তাহার জীবন,—মৃত্যুর তুলা ৷” জাপানী কুমারী শিশুকাল হইতেই, এই সকল নীতি-রত্ন, সৰ্ব্ব প্রযত্বে অভ্যাস করেন । একটিমাত্র নীতি ভঙ্গেও মহাপাপ বিবেচনা করেন । যে সকল জাপান-কুমারী লেখা পড়া শিক্ষা করেন, তাহারা পুনঃ পুনঃ এই নীতি-সার কাগজে লিখেন, পাঠ করেন, মুখস্থ করিয়া রাখেন, আর বিবাহ-জীবনে, প্রাণপণে এই নীতি অনুসারেই চলিয়া থাকেন । હરું শিক্ষা-নীতি-প্রভাবে, জাপানী স্ত্রীজাতি অসাধারণ উন্নতি লাভ করিয়াছেন । তার অবহেলায়, ভারতীয় ললনাগণের পূর্ব গৌরব বিলুপ্ত হইতেছে! তাহাদের মধ্যে বিলাস বাসনার প্রবল বেগ, ইতর আকাঙক্ষার বাড়বানল, কৰ্ত্তব্য পালনে অশ্রদ্ধা এবং ধৰ্ম্মাচারে বিরাগ দৃষ্ট হইতেছে ! লোক-চরিত্রবিৎ পণ্ডিতগণ বলেন, “ভালবাসা, দয়া-মায়া, শ্রদ্ধ, ভয়-ভক্তি প্রভূতি, বোধ হয়, এক্ষণে আর লোকের অন্তঃকরণে অবস্থিতি করে না ! প্রবাসীর বিদেশ-বাসের ন্যায়, জন্মভূমি পরিত্যাগ করিয়া, কেবল চক্ষে বসতি করিতেছে! নয়ন মুদ্রিত করিলেই, সব অদৃশ্য হয় ! হায় ! দেবীর আসন, এক্ষণে শ্মশান-ক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে !” এ দুর্দিনেও, বিধাতার বিশেষ কৃপা-বলে, নীলকান্ত ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়, দাম্পত্য সুখে বঞ্চিত ছিলেন না ! তাহার ধন ছিল না, Bø
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।