পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । দুঃখিত অথবা লজ্জিত না হইয়া, গগনভেদি-স্বরে বলিতে লাগিল, “তোর বড় কুটুম এসেছে ! ভিখেরী বামুন দেখে, আহলাদ উথলিয়ে উঠছে আর কি ! আহা ! বুড়া ত মরেও না ! কত্তা বাড়ী আসুক আগে, আজ তোকে ঠ্যাঙ্গিয়ে, ঘর থেকে বের করব !” নারায়ণ কাতরভাবে বলিলেন, “ছি ! ছি:! মা ! এরূপ কথা বলছ কেন ? শাশুড়ী, গুরুর গুরু—মহাগুরু ; র্তাহাকে কি এমন কথা বলতে আছে ? তাহার আশীর্বাদে তোমার সুখ হবে, শাখা-সিদূর রক্ষা পাবে ; আর র্তাহাকে & কষ্ট দিলে, এক সময়ে কষ্ট পেতে হবে।” এই সকল কথা শুনিবামাত্র ক্ষান্তমণি গর্জিয়া উঠিয়া বলিল, “যা, বিট্‌লে বামুন, বক্তৃতা করতে এসেছেন ! তোর বাড়ী কোন দেশেরে ? আমাদের চোঁদপুরুষের ঠাকুর আর কি !” নারায়ণ ধীরে ধীরে উত্তর করিলেন, “এ কথাটি সত্য বটে ; আমি তোমাদের চোঁদপুরুষের কেন, একশত পুরুষের ঠাকুর ” এই কথা শুনিয়া, ক্ষান্তমণি নারায়ণের প্রতি অকথ্য ও অশ্রাব্য গালি-বর্ষণ করিতে লাগিল । নারায়ণ পিশাচীর সহিত তর্কবিতর্ক করা অরণ্যে রোদন বিবেচনা করিয়া, কিয়ৎকাল মৌনাবলম্বন করিলেন । § ইতিমধ্যে গৃহে বিশু পণ্ডিতের শুভাগমন হইল। বিশুকে দেখিয়া, ক্ষান্তমণির নয়ন-যুগল হইতে দুইটি প্রবাহ ছুটিল ; ক্রোধে, দুঃখে, অপমানে ও অভিমানে, আহত বিষধরের ন্যায়, গৰ্জ্জিয় উঠিয়া, পাপীয়সী আকাশ পাতাল ভাঙ্গিতে লাগিল, סיר