দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । খারাপ বোধ হচ্ছে ; তুমি এবেলা রেধে নেওনা গা ?” অমনি বিশু পণ্ডিত অম্লান-বদনে রন্ধন করিতে গেলেন ; চা’ল ধুইলেন, মাছ কুটিলেন, জ্বাল জালিলেন এবং আহলাদের সহিত রাধিতে লাগিলেন । ক্ষান্তমণির শরীরে অসুখ, তাই সে খাটের উপর । শয়ন করিল ! যথাকালে বিশ্বনাথের রন্ধন শেষ হইল। আপনার অন্নব্যঞ্জনাদি একখানা থালার মধ্যেই লইলেন, আর গৃহিণীর জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে সমস্ত রাখিয়া দিলেন। বিশ্বনাথ আহার । করিলেন ; তৎপর থালাখানা ধৌত করিয়া আনিয়া, রন্ধন গৃহের যথাস্থানে রাখিয়া দিলেন। এদিকে গৃহিণীর নিদ্রাভঙ্গ হইল ; তিনি উঠিয়া তেল দিলেন, আস্তে আস্তে স্নান করিতে গেলেন ; স্নান করিয়া, সিক্ত কাপড়খানা বারেন্দার চৌকির উপর রাখিয়া, আহার করিতে বসিলেন । বিশ্বনাথ, আসন ও জলের গ্রাস পূর্বেই প্রস্তুত রাখিয়াছিলেন ; গৃহিণীর আহারের কোনও অসুবিধা না হয়, এজন্য রন্ধন-গুহে মধ্যে মধ্যে উকি মারিতে লাগিলেন। আহার শেষ হইল। মুখ ধৌত করিয়া, পান চিবাইতে চিবাইতে ক্ষান্ত বলিল, “কি রেধেছ ? মাছের ঝোলে হলুদ বেশী, আর ডালে মুন কম হয়েছে ; ভাতগুলিও যেন কিছু শক্ত রয়েছে !” বিশু পণ্ডিত উত্তর করিলেন, “কি করব, তোমার আহারের অসুবিধে হয়েছে বটে । আচ্ছ, বিকেলবেলার যে দুধ আছে, তাহাই খাও গিয়ে।” নারায়ণ, বিশু পণ্ডিত ও তদীয় গৃহিণীর অস্বাভাবিক ভাব দর্শন করিয়া, মৰ্ম্মাস্তিক যাতনামুভব করিলেন এবং কিয়ৎকাল পরে চিন্তা ማ¢
পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।