পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন। যে পুত্র উপযুক্ত সময় জানিয়া, পিতা মাতার আসন, ভোজন, বস্ত্র ও পানীয় এবং ভজন ইত্যাদি কাৰ্য্যে নিযুক্ত হয়, আর সর্বদ মৃদু বাক্য প্রয়োগ করে এবং প্রিয়ানুষ্ঠান করিয়া, মাত পিতার আজ্ঞানুবৰ্ত্তী হয়, সেই পুত্ৰই কুল পবিত্র করে। কোহর্থঃ পুত্রেণ জাতেন যো ন বিদ্বান্ন ধাৰ্ম্মিকঃ । কাণেন চক্ষুষা কিংবা চক্ষুঃ পীড়ৈব কেবলম্ ॥ যে পুত্র বিদ্বান নয়, ধাৰ্ম্মিকও নয়, এমন পুত্রের প্রয়োজন কি ? বরং না থাকাই ভাল ; যেমন দৃষ্ট্রি-হীন চক্ষু দ্বারা কোনও উপকার হয় না, কেবল চক্ষু পীড়ার কষ্টই ভোগ করিতে হয়। হায় ! “জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী,” এই মহাবাক্যটি, এক্ষণে, অনেক স্থলেই মিথ্যা বলিয়া প্রতিপন্ন হইতেছে ! হায় ! এ শোচনীয় দৃশ্ব আর দর্শন করিতে পারি না ! আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে । সমস্ত শরীর যেন অবশ হইয়া আসিতেছে ! হায় মা ! ভারতভূমি ! তুমি কেবল শৃগালকুকুর পোষণ করিতেছ মা ! যতদিন না তোমার পুত্ৰগণ ধৰ্ম্মপরায়ণ হইবেন এবং দুহিতৃগণ এই বিশ্বসংহারিণী মূৰ্ত্তি পরিত্যাগ করিবেন, ততদিন আর তোমার কল্যাণ কোথায় মা ! যাহারা সরলতার প্রতিম, সপ্তাবের আবাস-ভূমি ও শ্রদ্ধা-ভক্তির জীবন্ত প্রতিমূৰ্ত্তি ছিলেন, এক্ষণে র্তাহাদের সেইভাব কোথায় গেল মা ! অনন্তর নারায়ণ উচ্ছলিত দুঃখবেগ কথঞ্চিৎ সংবরণ করিয়া, মানমুখে ও অধোবদনে দেবালয়ে প্রত্যাগমন করিলেন ।

  • >