পাতা:দেবগণের অভিনব ভারত দর্শন.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের অভিনব ভারত-দর্শন । দেবগণের পুনর্মিলন ও আক্ষেপ। নারায়ণ, নারদ ও গণেশ সন্ধ্যার প্রাক্কালে দেবালয়ে উপস্থিত হইয়া, সন্ধা-বন্দনাদি সমাপন করিলেন। অতঃপর নারায়ণ, অতি দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ পূর্বক, নিতান্ত কাতরভাবে বলিতে লাগিলেন,—“বংস, কি বলিব, দুঃখে বুক ফাটিয়া যায় ! এ দেশ আর সে দেশ নহে ! এ এক অভিনব দেশ ! এ অভিনব দেশের অভিনব ভাব, আমারও বুদ্ধির অগম্য ! যাহা আমি স্বপ্নে ও কখন ভাবি নাই, তাহাই প্রত্যক্ষ দেখিতেছি । জানিনা, কি এক ঘোরতর দুর্ভাগ্য ভারতের জন্য প্রতীক্ষা করিতেছে ! বধূগণের শাশুড়ী-দ্বেষ এবং পুত্ৰগণের মাতৃ-বিদ্বেষ ও স্ত্রী-পরায়ণত যেরূপ দর্শন করিলাম, তাহাতে আশঙ্ক হয়,— এ দেশের অধিবাসিগণ, অচিরেই মনুষ্য-সমাজ-বিচু্যত হইয়া, পশু-সমাজের অন্তর্নিবিষ্ট হইবে ? হায় । ভারতমাতার ভাগ্যে কি এই ছিল ; মহামুনি নারদও প্রশান্তভাবে বলিতে লাগিলেন, “প্রভো ! আমরা ও দেখিলাম,—পল্লী-বাসিগণ কেবল স্বার্থ-পরতা, অযথা বিরোধ, পর-নিন্দ, পরানিষ্ট-সাধন ও পরশ্ৰী কাতরতায় ব্যতিব্যস্ত ! হরিনামের মোহময় কীর্তনে অতি অল্প লোকই মাতোয়ারী ! যদিও দুই একটি মাতৃভক্ত ও ধৰ্ম্মশীল পুত্র এবং স্বামী-সর্বস্ব, লক্ষীরূপিণী বধু, এখনও জীবিত আছেন বটে, কিন্তু তাহাদের সাধু দুষ্টান্ত প্রায়ই অমুস্থত হয় না। সাধারণতঃ, স্ত্ৰীজাতি বিলাসিনী, দুবিনীতা ও স্বার্থ-পরায়ণ এবং পুরুষগণ, by e