૧-8. দেবগণের মর্ত্যে আগমন আর স্থজনের বাম হাতে ছটা মুরগী থাকে। বর কন্যার নাসিকায় সিন্দুর দিয়া কহে “মুনারি। আজি হইতে ভূমি আমার স্ত্রী হইলে ।” বিবাহের পর মেয়ে বাপের বাড়ী যায় । একজন গিয়া মেয়ের বাপকে খবর দেয়, "তোমার, মেয়ের বিবাহ হয়ে গিয়েছে।” মেয়ের বাপ এই সমাচারে প্রথমে রাগিয় উঠেন । তৎপরে একটা শুকর, এক বোতল মদ ও একটী টাকা দিলে রাগ নরম পড়ে। পরে যখন বরের বাড়ীর লোক কন্যাকে আনিতে যায়, কন্ত। তখন ভাড়ার ঘরে লুকাইষ থাকে । মেয়ের বাপ কহে *তোমরা চলে যাও, আমাৰ মেয়ে হারাইয়া গিয়াছে।” তৎপরে ফুট টাকা দিলে মেয়েকে বাছির করিয়া দেয়। ইন্দ্র । এ বিবাহ মন্দ নহে। এখানে আর কোন রকম বিবাহ আছে ? বরুণ। তিব্বতে, পাণ্ডবদিগের স্তায় সমস্ত ভ্রাতা এক পত্নী বিবাহ করে। তাহার কহে, সমস্ত ভ্রাত পৃথকৃ পৃথক্ বিবাহ করিলে পরিবারের মধ্যে বিবাদ হয় ও অর্থহানি ঘটে, মুতরাং সংসার ছারখার হয়। ছেলেরা জেঠাকে বাবা বলে ও অপরাপরকে খুড়া বলে। - উপ। আচ্ছ বরুণ-কাক, তাছা হইলে কোনটা কাহার ঔরসে জন্মিল কিরূপে স্থির হয় ? ব্ৰহ্মা, বরুণ, আর ভাল লাগছে না। আমাকে দারূজিলিংয়ের ইতিহাস বলিয়া স্বৰ্গে লইয়া চল । . বরুণ। দারূজিলিং একটা দ্বিতীয় শ্রেণীর জেলা। এই স্থানের আদি নাম “দরজেলাম”। দারূজিলিংয়ে অস্থাপি উক্ত নামে একটা স্থান বর্তমান আছে। ঐ স্থানে সময়ে সময়ে ভুটিয়ার সমবেত হইয়া মহাকালের পূজা করিয়া থাকে। তেঁতুলিয়া নামক স্থান ও করতোয় নদীর তীরস্থ শিলিগুড়ি সিকিমপতির অধিকারে ছিল। তেঁতুলিয়া পুৰ্ব্বে রংপুর জেলার মধ্যে ছিল এবং তথায় মাজিষ্ট্রেটের কাছারি হইত। করতোয় হিন্দুদিগের
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১০০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।