দেৱগণের মর্ত্যে আগমন سياسb\* কারবস্কল, বহুমূত্র, বসন্ত প্রভৃতি আসিয়া জুটিতে লাগিলেন। নোটশ সৃষ্টি বৃষ্টি, বাদল, ঝড়, মহাঝড় (সাইক্লোন ), অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, জলস্তম্ভ, ভূমিকম্প প্রভৃতি আসিলেন। ইন্কমু, লাইসেন্স, চৌকিদার, রোডলেস, লাইটিং প্রভৃতি ট্যাক্সগণক আসিয়া দেখা দিলেন । কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, বিস্তু, বুদ্ধি প্রভৃতি আসিলেন। শনি আসিয়া সভা পরিদর্শনের ভার লইলেন। সকলের পরামর্শে পিতামহ সভাপতির আসন গ্রহণ কুৰ্বিলেন এবং দেবরাজ দণ্ডায়মান হইয়া বলিতে লাগিলেন,—“হে অমরবৃন্দ? আমরা সম্প্রতি মৰ্ত্তো গমন করিয়াছিলাম। তথায় যেরূপ দেখিলাম, তাছাতে পৃথিবী ধ্বংস করিবার ইচ্ছা করিয়াছি। মর্ত্যে ব্ৰাহ্মণগণের আর ব্রাহ্মণত্ব নাই। পূৰ্ব্বকার ব্রাহ্মণের। সৰ্ব্বত্র আদরের সহিত পূজা পাইতেন এবং তাহদের ব্যবস্থাগুণে কদাচারী, জাতিচু্যত ও পতিত ব্যক্তি উদ্ধার হইত। এক্ষণে ব্রাহ্মণেরাই জাতিচু্যত ও পতিত হইয়াছেন । পুৰ্ব্বকার ব্রাহ্মণের দাসত্ব করিতেন না, কিন্তু এখনকার । ব্রাহ্মণের পাঁচ টাকা বেতনে কৰেষ্টবলি ও মেথরের পেয়াদাগিরি পর্য্যস্ত করিতেছেন। অমরবৃন্দ। দুঃখের কথা কি বলিব—পূৰ্ব্বকার ব্রাক্ষণের বেনামীতে দোকান করিয়া চাকর দিয়া কাজ চালাইলেও সমাজচ্যুত হইতেন, কিন্তু এখনকার ব্রাক্ষণের মুখার্জি, বানার্জি নাম দিয়া প্রকাপ্তে জুতার দোকান, ইংরাজী হোটেল করিয়াও সমাজচ্যুত হইতেছে না। পূৰ্ব্বকার ব্রাহ্মণের সকলের বাড়ী যাজন ও আহার করিতেন না। এখনকার কুক্ষণের দক্ষিণ পাইলে বেতাবাড়ী, ধোপার বাড়তেও আহার করিতে ছাড়েন মা । পুৰ্ব্বকার ব্রাহ্মণের সন্ধ্য আহ্নিক না করিয়া জল খাইতেন না, কিন্তু এখনকার ব্রাহ্মণদিগের সন্ধ্যা করা দূরে থাক, ৰেঞ্জী পরিচারিক লুচি ও বেগুণ ভাজা না আনিলে জল খান না। পূর্কে কম্ভ সম্প্রদান করা মহা পুণ্যকাৰ্য্য ছিল, এক্ষণে তৎপরিবর্ক্সে ব্রাহ্মণের *কল্প বিক্রয় করিতেছেন ও কেহ কেছ পরিবর্তে বিবাহ ক্ষস্থিতেছেন। .
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১০১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।