^మo দেবগণের মর্ত্যে আগমন পরিবর্তে সাহেব ভোজন হইতেছে। পূৰ্ব্বে প্রত্যেকেরই উপদেষ্ট এক একজন গুরু থাকিত,এক্ষণে গুরুকে বিদায় দিয়া ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতেছে। এক্ষণে দেব দেবীর যে পূজা করা হয়, তাহা ভক্তির জন্ত নহে, আমোদ প্রমোদের জন্য। এক্ষণে মনুষ্যের আর সৎপ্রবৃত্তি নাই, কুপ্রবৃত্তিতে দেহ পরিপূর্ণ। এই নিমিত্ত আমি পৃথিবী ধ্বংস করিবার অভিলাষ করিয়াছি।” চতুৰ্দ্দিকৃ হইতে “সাধু সাধু” শব্দে সকলে করতালি দিলেন। পিতামহ । আমি পৃথিবীকে একেবারে ধ্বংস না করিয়া ক্রমে ক্রমে ধ্বংস করিতে ইচ্ছা করি। অতএব উপস্থিত দেবগণের মধ্যে কে কি ভার লইতে প্রস্তুত আছেন জানিতে চাই । তখন সাংক্রমিক রোগ গাত্ৰোখান করিয়া কহিলেন “কেবল আমার দ্বারাই বাঙ্গালা দেশ ধ্বংস হইয়াছে । আমি ১৮২৪ খৃষ্টাব্দে যশোহরের অন্তর্গত মহম্মদপুর নামক গ্রামে প্রথম আবিভূত হই। তৎপরে ১৮২৫৷২৬ অব্দে নিজ যশোহর ও তৎসন্নিহিত অনেকগুলি স্থানের লোককে সংহার করিয়া ১৮৩২।৩৩ অব্দে নদীয়া জেলায় প্রবেশ করি এবং অনেকগুলি গ্রাম নষ্ট করিয়া ১৮৫৬ খৃঃ অব্দে উলাতে আসিয়া দেখা দিই। উক্ত নগর ধ্বংস করিয়া ১৮৫৭ অব্দে রাণাঘাটের নিকটস্থ অনেকগুলি গ্রাম নষ্ট করি । তৎপরে ১৮৫৯ অব্দে র্কাচড়াপাড়ায় উপস্থিত হই । কাচড়াপাড়া ধ্বংস করিয়া গঙ্গা পার হই এবং হুগলীর উত্তর পূর্বাংশ ও বারাসত জেলা ধ্বংস করিয়া তৎপরে ১৮৫৯৬০ অৰে শাস্তিপুরে আমার শুভাগমন হয়। তথা হইতে ১৮৬৪ অব্দে কৃষ্ণনগরে যাই । ১৮৬৭ অব্দ পর্য্যস্ত তথায় থাকিয়া নগরের একতৃতীয়াংশ লোক নষ্ট করিয়াছি। ডিঃ গুপ্তর মিকৃশ্চার ও সুধাসিন্ধু প্রভৃতি কতকগুলি ঔষধ হইয়া আমার প্রতাপ একটু কমাইয়াছে। কিন্তু সম্পূর্ণরূপে সামলাইতে লোকের অনেককাল লাগিবে। এক্ষণে আপনার যদি বলেন ত পুনরায় একবার কোমর বাধিয়া লাগিব ।” তখন পাল জর, হাম জ্বর, বসন্ত প্রভৃতি রোগের “বেশ বেশ" শব্দ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১০১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।