ल्लिल्ली ©ዓ দেওয়ালীর সময় দিল্লীতে বড় সমারোহ হইয়া থাকে। এই সময়ে প্রত্যেক দোকানদার দোকানঘরগুলি উত্তমরূপে সুসজ্জিত করিয়া আলো দেয়, এবং প্রত্যেক ঘরে মৃত্য গীত হয়। মহাজনেরা এই সময়ে সংবৎসরের টাকা আদায় করে, এবং হিন্দুর লক্ষ্মী পূজা করিয়া থাকে । , এমন সময় এক ব্যক্তি চাই দিল্লীকো লাড “চাই দিল্লীকো লাড" বলিয়া দেবগণের নিকট উপস্থিত হইল । তখন ব্রহ্মা কহিলেন “অনেক দিন অবধি নাম শুনা আছে, কিন্তু কখৰু খাই নাই ।” ইন্দ্র কহিলেন, “যদি ভাল হয়—ছেলেপিলের জন্ত সিকে পাচের কিনে নিয়ে যাইব ।” নারায়ণ কহিলেন “আমিও কিছু নিয়ে গিয়ে শনি ফনিকে খেতে দেব যে, তাহারা পচুতাবে না।” বলিয়া, চারি পয়সা করিয়া দরচুক্তি করিলেন এবং প্রত্যেকে ক্ষীর দিয়া ছাওয়া লাডতে কামড় মারিয়া খু খু করিয়া কাঠের গুড়া ফেলিতে ফেলিতে পচুতাইতে পছতাইতে চলিলেন। কিয়ুৎফুর যাইয়া পিতুামত দেখেন, কতকগুলি মোল্লা কাছ খুলে ফয়তা দিচ্চে। ইনি আর কখন ফয়তা দেওয়া দেখেন নাই ; সুতরাং হাসিতে হাসিতে কহিলেন “বরুণ ! ওরা কি ক’রচে ?” বরুণ। ঈশ্বরকে ডাকৃচে ? ব্ৰহ্মা। কাচ খোলা কেন ? বরুণ। তা না হ’লে তিনি সস্তুষ্ট হন না। এই সময় নারায়ণ বরুণের কাণে কাণে কছিলেন “দিল্লীর বাই ভাল শোনা ছিল ; কিন্তু মাগীরে বারাণ্ডায় বসে যে গুড়ক তামাক খাচ্চে, দেখে অশ্রদ্ধা হয়ে গেল ।” ষ্টেশনে যাইয়া দেবগণ দেখেন, “টিং ল্যাটাং-টং ল্যাটাং” শব্দে টিকিটের ঘণ্টা হইতেছে। বরুণ তৎশ্রবণে কহিলেন “নারায়ণ, শীঘ্র ব্যাগ খুলিয়া টাকা দেও।” কিন্তু তিনি টাকা বাহির করিতে বিলম্ব করায় বরুণ বিরক্ত হইয়া কছিলেন “আমি আর পারবে না, তুমি গিয়ে টিকিট কিনিয়া আন”।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।