৩৮ : দেবগণের মর্ত্যে আগমন “এ ত ভারি শক্ত কথা !” বলিয়া নারায়ণ টিকিট কিনিতে যাইলেন। দেখেন, টিকিট-ঘরের দ্বারে বহুসংখ্যক মুসলমান দাড়াইয়া রহিয়াছে। নারায়ণ, চাচাদিগের মুখের নিকট মুখ লইয়া গিয়া “ওগো চারিখানি টিকিট দেও” বলিয়া,নাকে কাপড় দিয়া "ওয়াকৃ“ওয়াকৃ” করিতে করিতে পলাইয়৷ আসিলেন । ব্ৰহ্মা তদর্শনে নিকটে যাইয়া কহিলেন “কৃষ্ণ ! কি হইয়াছে ?” নারা । বাবা! রমুন থেয়ে এন্নি টেকুর তুলেছে যে, গা-বর্মী-বর্মী করে মারা যাই, বোধ হয় ইহ যুগে আর এ গা-বমী-বমী সাবে না। বরুণ তদর্শনে হাস্ত করিতে করিতে যাইয়া, মথুর। বৃন্দাবন দৰ্শনভিলাষে হাটারসের টিকিট লইয়৷ গাড়িতে উঠিলেন, ট্রেণ হুপ ছপ গুপ। গুপ্ত শব্দে আলিগড়ে যাইয়া উপস্থিত হইল । ইন্দ্র। বরুণ, এ স্থানের নাম কি ? বরুণ। এ স্থানের নাম আলিগড়। পূৰ্ব্বে এখানে কোল নাম অসভ্য জাতির বাস করিত। কোলের অত্যন্ত ডাকাইত ছিল । রাজা জরাসন্ধ তাহার জামাত কংসের নিধন-সমাচারে ক্রুদ্ধ হইয়া যখন কৃষ্ণের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন, সেই সময়ে এই স্থানে শিবির সন্নিবেশিত করিয়াছিলেন। এখানে অনেক উৎকৃষ্ট অট্টালিকা আছে। এখানকার মৃত্তিকার দুর্গ বিখ্যাত। এই কেল্লা ১৮০৩ খৃষ্টাব্দে লর্ড লেক অধিকার করেন। অস্থাপি নগরের দুই মাইল দূরে উক্ত দুর্গের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়৷ যায় । পুনরায় ট্রেণ ছাড়িয়া হাটারসে উপস্থিত হইল। দেবতারা তথা হইতে ব্রাঞ্চ রেলে মথুরায় চলিলেন। ট্রেণের চলন দেখিয়া দেবগণ হান্ত করিতে লাগিলেন। নারায়ণ কহিলেন “এ গাড়ি যেরূপ ভাবে যাইতেছে, ছুটে গিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করিয়া আসিতে পারা যায়। বরুণ! অম্লান্ত রেলের স্তায় এ গাড়ি দ্রুত গমন করিতে পারে না কেন ? এবং কি কারণেই বা ইহার দু’ধারে বেড়া দেয়া নাই ? বরুণ। এ গাড়ির কল ছোট ও দেশীয় চালকে চালায় বলিয়া তাদৃশ
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১০৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।