পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o দেবগণের মর্ত্যে আগমন নাই। যেটা দেখিতেছেন, উহাকে কংসটোলা কহে । উহারই উপর শ্ৰীকৃষ্ণ কংসকে বিনাশ করেন” বলিয়া, সকলে অগ্রসর হইতে লাগিলেন। কিছু দূর যাইয়া ইন্দ্ৰ কহিলেন “বরুণ ও মন্দির এবং পুষ্করিণী কাহার ?” বরুণ। মন্দিরট দেবকীর কারাগার। কংস নারদমুখে দেবকীর অষ্টম-গর্ভের সস্তান কর্তৃক নিহত হইবে গুনিয়া এই স্থানে বসুদেব ও দেবকীর বক্ষে পাষাণ চাপ দিয়া রুদ্ধ করিয়া রাখিয়াছিল। ঐ যে স্ত,পাকার প্রস্তর দেখিতেছেন, ঐ স্থানে কারাগার ছিল ; মুসলমানেরা তাহা ভাঙ্গিয়া.ঐ মসজিদটী নিৰ্ম্মাণ করিয়া রাখিয়াছে। যে পুষ্করিণীটী দেখিতেছেন, ইহাতে দেবকী স্থতিক-স্নান করিয়াছিলেন । পুষ্করিণীটী গোয়ালিয়রের মহারাজ যত্ন করিয়া বাধাইয়া দিয়াছেন। ঐ ভাঙ্গ ঘরে দেবকী ও শ্ৰীকৃষ্ণের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। ইন্দ্র । দৈত্যের সকলই পারে। ব্ৰহ্মা। এ তোমার অদ্যায় কথা, কেন দেবতারাই কি সকল পারে না? তুমি বুত্রসংহার-সময়ে কি কারণে নিরপরাধী দধীচি-মুনির অস্থি লইলে ? অতএব কংস নিজের প্রাণ রক্ষার জন্ত যে কাজ করিয়াছিল, তাহাতে তাহাকে দোষ দেওয়া অন্তায় । এক্ষণে বেলা হইয়াছে, চল স্নান ক’রে আহারের উদ্যোগ করা যাক।” বলিয়া, সকলে যমুনাতে স্নান করিতে উপস্থিত হইলেন । বরুণ। এই যমুনা পার হয়ে বসুদেব গোকুলে শ্ৰীকৃষ্ণকে রেখে আসেন। ব্ৰহ্মা । আহা ! কত উত্তম উত্তম বাধীঘাট উভয় তীরে রহিয়াছে। বরুণ ঐ যে পরপারে ঘাট দেখিতেছেন, ঐ ঘাটে পুতনাকে দগ্ধ করা হয়। এই পুতনা-রাক্ষসী জীকৃষ্ণের নিধন জন্য স্তনে বিষ মিশ্রিত করিয়া বৃন্দাবনে এসেছিল। শ্ৰীকৃষ্ণ এমন জোরে তাহার স্তন টানেন যে, তাহাতেই তাহার মৃত্যু ঘটে। এই ঘাটকে বিশ্রামঘাট কহে। কৃষ্ণ ও বলরাম কংসকে নিধন করিয়া এই ঘাটে বিশ্রাম, করিয়াছিলেন। সন্ধ্যার