পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবন ব্ৰহ্মা। আহা কি অত্যাচার । যবনের প্রায় সৰ্ব্বত্রই দৌরাত্ম্য করিয়াছে। যবনের আর কিছুদিন ভারতবর্ষে আধিপত্য কল্পে যথার্থই হিন্দুর নাম পর্যন্ত লোপ পাইত । দেবগণ ইহার দ্বারে। করিয়া ভেট দিয়া বাটার মধ্যে প্রবেশ করিয়া দেখেন, গোবিন্দজী রাধা ও ললিতার সহিত মন্দিরে বিরাজ করিতেছেন। ইনি দিবসের এক এক ভাগে এক এক বেশে সুসজ্জিত হন। বংশীট সকল সময়েই হাতে থাকে। বরুণ। এই মূৰ্ত্তি মামুদের ভয়ে গর্তের মধ্যে লুক্কায়িত ছিলেন। বলরাম আচার্য্য বাহির করেন । পরিশেষে অনেক উপদ্রব সহ করিয়াও আওরঙ্গজেবের ভয়ে দ্বারকায় পলান । তথায় অদ্যপি দ্বারকানাথ নামে বিগ্রহ আছেন । র্তাহার মন্দিরকে মানমন্দির কহে। উহা পৃথিবীর মধ্যে বৃহৎ ও বিখ্যাত। গোবিন্দজী অদ্যাপি জয়পুরের মহারাজের তত্ত্বাবধানে আছেন ৷ শ্ৰীকৃষ্ণ অত্যন্ত মাখন ভাল বাসিতেন, এমন কি সময়ে সময়ে বেসালি হইতে চুরি করিয়া খাইতেন বলিয়া ইহার সেবায় অধিক পরিমাণে মাখন দেওয়া হয় । ইনি যদুবংশের পূর্ব পুরুষ বলিয়। রাজপুতের অত্যন্ত ভক্তি করে। জয়পুরের রাজা ইহার সেবার জন্য বৃন্দাবনের আয়ের এক তৃতীয়াংশ দান করিয়াছেন । ইহঁার ভক্তেরা বৈরাগী । ইন্দ্র। বৈরাগীরা কিপ্রকার ? বরুণ । উহাদের মাথা ওলের ন্যায় কামান, মধ্যস্থলে তরমুজের বোটার দ্যায় চৈতন, হাতে কুড়োজালি এবং সৰ্ব্বাঙ্গে হরিনামের তিলক, পরিধান কেীপীন, গলায় হরিনামের মালা । বলিতে বলিতে সেই স্থান দিয়া কতকগুলি বৈরাগী “জয় রাধা” শব্দ করিয়া চলিয়া গেল । দেবগণ তাহাদিগকে দেখিয়া হাস্ত করিতে লাগিলেন। ক্রমে সন্ধ্য হইল। দেবগণ আর নগর ভ্রমণে বাহির হইলেন না । তাহারা বাসায় বসিয়া অনেক সুখদুঃখের কথা আরম্ভ করিলেন । এই সময়ে পদ্মযোনি আফিংয়ের কোঁটা