পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃন্দাবন 8Sు বরুণ। শেষ দশাতে তিনি গোবৰ্দ্ধন গিরির ওহায় বাস করেন। ঐ স্থানেই তাহার মৃত্যু হয় । তথায় লালাবাবুর কুঞ্জ আছে। কুঞ্জের সন্নিকটে তিনি জায়েন-মন্দির নামক একটি উৎকৃষ্ট মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন, মন্দিরের মধ্যে রংজী নামক প্রতিমূৰ্ত্তি আছে।” এই কথা বলিয়া সকলে নিধুবন দর্শনে গমন করিলেন। নিধুবনে উপস্থিত হইয়া ইন্দ্ৰ কহিলেন, “একি সেই নিধুবন ? আমরা দোলের সময় যে গান করি— - ‘আজ হোলি খেলবে। ੇਸ਼ তোমার সনে । একল পেয়েছি তোমায় নিধুবনে ॥’ এ নিধুবন কি সেই নিধুবন ?” বরুণ। ই ভাই! এই বনে আসিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ বনফুল তুলে মালা গেঁথে নিজ গলে পরিধান করিয়া কদম্ব গাছে উঠে পা দোলাইতে দোলাইতে বংশীধ্বনি করিতেন, অমনি ইঙ্গিত অনুসারে ব্ৰজগোপীরা জল লইবার ছল করিয়া আসিয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া যাইতেন। এই বনেই তিনি রাধিকাকে রাজা সাজাইয়া স্বয়ং কোটাল সাজেন। ঐ ষে পুষ্করিণী দেখিতেছ, উহাকে ললিতাকুও কহে । এই সময়ে কতকগুলি বানর আসিয়া দেবগণের হস্ত হইতে সজোরে গুড়গুড়ির নলগুলি লইয়া নিকটস্থ একটি বটবৃক্ষে উঠিয়া বলিল। পিতামহ “তু” শব্দে কুকুর ডাকিয় তাহাদিগকে মারিতে উষ্ঠত হইলে বানরগণ রাগে নলগুলি খণ্ড খণ্ড করিয়া তলায় ফেলিয়া দিয়া দাত খিচাইতে লাগিল । ব্ৰহ্মা । আহা ! এমন নলগুলি একেবারে নষ্ট করে দিলে ; বেঁধে ছেদে যে কাজ চালাব, সে পথও রাখে নি। বাড়ী গিয়ে ফল্গুলীতে লাগিয়ে” যদি একদিনও একছিলেম মিটেকড়া তামার্ক্স খেতে পেতেম, মনে এত আপশোষ হতো না। কেনই বা গড়গাঁ, কিনিবার জন্য এগুলো হাতে ক’রে এনেছিলাম । - - -