G R দেবগণের মর্ত্যে আগমন কেন এমন হয়, কেহ রজনীতে আসিয়া দেখিয়া য়াইতে সাহস করে না । একজন চোবে দেখিবার জন্য একরাত্রি এখানে বাস করিয়াছিল ; কিন্তু প্রাতে দেখা যায়, সে বোবা হইয়া বাক্য-রহিত হইয়াছে। এই সময়ে দেবগণ "সাহেব আসচে” “সাহেব আসচে” বলিয়া, পথ ছাড়িয়া পাশ্বে গিয়া দাড়াইলেন। বারংবার সাহেবের মুখের দিকে এবং গাছের দিকে চাহিতে লাগিলেন। সাহেব নিকটে আলিয়া—“বাঙ্গালী— টোম্রা কি দেখিতেছে” বলিয়া চলিয়া গেল। ইন্দ্র ৷ বাঃ! সাহেব ত বেশ বাঙ্গালা কথা বলে, যেন ময়না পাখী কপ্চে গেল । বরুণ। ঠাকুরদা, আপনি অত গাছের দিকে তাকাতে লাগলেন কেন ? ব্ৰহ্মা। পাথরের মত ছাল, ওটা কি—তাই, দেখছিলাম । বক্ষণ—“এইট একটি নূতন রকমের বহুকালের পুরাতন বৃক্ষ এই বলিয়৷ সকলে তথা হইতে বন্ধবিহারী দেখিতে যান এবং উপস্থিত হইয়া বরুণ কহেন, “ইনিই বঙ্কবিহারী, এই মূৰ্ত্তি বৃন্দাবনের সকল মুক্তি অপেক্ষা বৃহৎ ব্ৰজবাসীদিগের ইনিই উপাস্ত দেবতা।” ইন্দ্র ৷ ইহঁার, বামে রাধা নাই কেন ? কৃষ্ণ ত তিলাৰ্দ্ধ মাত্র রাধিকাকে ছেড়ে থাকৃতে পারতেন না ! বরুণ। কথিত আছে—ব্ৰজবাসীরা ইহার বামে ৩৪ বার রাধিক দিয়াছিল, কিন্তু ইনি লজ্জায় টেনে ফেলে দেন। অনেকে বলে “ইনি রজনীতে প্রকৃত রাধিকার সহিত বিহার করিত বলিয়া কৃত্রিম রাধিক বামে লয়েন না।” প্রাতে নয়টার কম ইহঁর নিদ্রাভঙ্গ হয় না, সুতরাং তৎপূৰ্ব্বে মন্দিরের দ্বারও খোলা হয় না। কাকের ডাকে পাছে নিদ্রা ভঙ্গ হয়, এই আশঙ্কায় কাকগণ সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বৃন্দাবন ছেড়ে মথুরায় যাইয়া আশ্রয় লয়। ব্ৰজবাসীরা প্রত্যহ সন্ধ্যার সমত্ব আসিয়া ইহঁাকে আরতি করিয়া থাকে। এখান হইতে দেবতারা রাধারমণ দেখিতে যান। ইনি শালগ্রামশিলা ;
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।