○ 8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। উহা শ্ৰীকৃষ্ণের বাল্যকালের গোপাল-মূৰ্ত্তি । তিনি উলঙ্গ হয়ে ইটু পেতে নাড় থাচ্ছেন। বল্লভ আচাৰ্য্য এই মূৰ্ত্তি স্থাপন করেন। গোবৰ্দ্ধন দেব মামুদের ভয়ে এই পৰ্ব্বতে পলাইয়া আসেন। এখানে কাৰ্ত্তিক মাসে একটি করিয়া মেলা হয়, মেলার সময় অনেক যাত্ৰী আসিয়া থাকে। এ স্থান হইতে দেবগণ বৃকভানু পৰ্ব্বত দেখিতে যান। এই পৰ্ব্বতে রাধিকার পিতা বৃকভানু বাস করিতেন। পৰ্ব্বতের উপরে ও নীচে অনেকগুলি প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। তঙ্গ হইতে সকলে বাসায় ফিরিয়া যাইয়। শয়ন করিলেন এবং নানাপ্রকার কথোপকথন চলিতে লাগিল । বরুণ। এ স্থানে পূৰ্ব্বে অত্যন্ত বন ছিল। বৃন্দা নামে এক দুশ্চরিত্র স্ত্রীলোক গ্রামের যত মেয়ে-ছেলেকে এনে এই বনে ছুটাছুটি করিয়া বেড়াইত। তাহারই নাম অনুসারে এই স্থানকে বৃন্দার বন বা বৃন্দাবন কহে । সেই আমাদের নারায়ণকেও খারাপ করে । নারা । বরুণ, চুপ কর ভাই ! তোমার মুখে কি অন্ত কথা নাই ? বরুণ । ঐ স্ত্রীলোকদিগের সংখ্যা ১০৮ জন। তন্মধ্যে ললিতা, বিশাখ, চন্দ্রাবলী প্রভৃতি অষ্ট-সর্থী প্রধান। ঐ অষ্ট-সখীর মধ্যে এক মাগী ভূতুড়ে কালো ছিল, তাহার গাত্রের বর্ণ কৃষ্ণের ন্তায় বলিয়া শুাম সখী নাম হয়। চন্দ্রাবলী সকলের অপেক্ষ কিছু সুন্দরী ছিল, কৃষ্ণ অনেক সময়ে রাধিকাকে ফাকি দিয়া তাহার সহিত বিহার করিতেন। কোন কোন দিন চন্দ্রাবলীর কুঞ্জে নিশা প্রভাত করিয়া আসিয়া রাধিকার কাছে নারায়ণের আর তিরস্কারের পরিসীমা থাকিত না । তিনি যত গাত্রের ঝাল অকথা কুকথার দ্বারা প্রকাশ করিয়া ঘোমটা টেনে মানে ব’সতেন । ইন্দ্র । মানে ব’সতেন ? তার পর— বরুণ। . ষ্ট্রকৃষ্ণ বেগতিক দেখে পরিশেষে বৃন্দার কাছে পরামর্শ নিতেন। সে মাগী পায়ে ধৰ্ব্বতে শিখিয়ে দিত। তাতেও মান না
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।