আগ্রা দেবগণ ষ্টেশন হইতে বাহির হইবামাত্র ব্ৰহ্মা কহিলেন “উঃ বাব ! বরুণ । ওটা কি গ্রাম—যার অত বড় লম্ব চওড়া প্রাচীর, আর তার গায়ে ফুটে ফুটো ?” বরুণ । উহা আগ্র ফোর্ট। এই নগর আকবর বাদশার রাজধানী ছিল বলিয়া, আগ্র নাম হইয়াছে । ইন্দ্র। বেলা হয়েছে, চল আমরা অগ্ৰে স্নান আহার করি, পরে প্রাণ ভোরে আগ্রা দেখা যাবে। আহা ! আহারটা প্রত্যহ না থাকতো ! নারা । এ সমস্ত দেখুলে আর ক্ষুধা থাকে না। কেউ আমাদের জন্য অল্প-ব্যঞ্জন প্রস্তুত করে রাখতো, তা হলে চট্ ক’রে চারটা খেয়ে নিয়ে সমস্ত দিন টো টো ক’রে দেখে বেড়াতাম । বরুণ। ইংরাজ রাজ্যে তৈয়ারি অন্নও পাওয়া যায়। যে স্থানে প্রস্তুত হয়, তাহাকে হোটেল বলে। হোটেলে চারি পয়সা দিলে মোটামুটি এবং দুই আনা দিলে ভালরূপ আহার দেয় । সেখানে শয়নেরও উত্তম বন্দোবস্ত আছে । ব্ৰহ্মা । রাধে কারা ? বরুণ। ব্রাহ্মণে, মাইনে করা ভাল পাচক-ব্রাহ্মণ আছে । নারা । এখন হ’তে আমরা হোটেলেই আহার ক’বে, নচেৎ প্রত্যহ আর হাত পুড়িয়ে রেধে খাওয়া যায় না। 壤 দেবগণ স্নান করিতে যমুনাতে চলিলেন । তথায় উপস্থিত হইলে বরুণ কহিলেন “পিতামহ । এই যমুনা-তীরস্থ বালুকার উপর ব্যাসদেব জন্মগ্রহণ ক’রেছিলেন । নারা । আহা ! কি চমৎকার সেতুই প্রস্তুত করেছে। বরুণ ৷ পর পারে যে উদ্যান দেখা যাচ্ছে, উহার নাম কি ? &
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৪৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।