পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগ্রা \b> বরুণ। উহা সম্রাটু• আকবরের কৃত এমৃদাদ উদ্যান । ঐ স্থানে রামবাগ নামক র্তাহার একটি অত্যুৎকৃষ্ট বৈঠকখানাও আছে। দেবগণ স্নান করিয়া আহ্নিক করিতেছেন, এমন সময়ে এক অবগুণ্ঠনাবৃত স্ত্রীলোক আসিয়া ব্ৰহ্মার চরণে প্রণাম পূর্বক রোদন করিতে লাগিল । ব্ৰহ্মা । দুঃখিনি! তুমি কে ? স্ত্রীমূৰ্ত্তি কহিল “বিধাতা, আর আমাকে চিন্তে পারবে কেন ? ধাত, স্বতিকা-ঘরে কি আমার ভাগ্যে এত কষ্টও লিখুতে আছে ? উদ্ধার কর! আমি আমার কপালের লিখন জলে ধুয়ে আসি, আর এক কলম ভাল ক’রে লিখে দাও! আর সহ হয় না,—ওমা! প্রাণ যায়।” ব্ৰহ্মা। কে, যমুনা ? ভগিনি ? তোমার আঁজ এ অবস্থা কেন ? দিদি, তোমার দুঃখ দেখে যে আমার প্রাণ ফেটে যাচ্চে ! যমুনা । বিধে ! তোমার মনুষ্যেরা আমার কি দুর্দশ করেছে দেখ । তাহারা আমাকে এলাহাবাদ প্রভৃতি স্থানে এমন ক’রে বেঁধেছে যে, আর আমার পাশ ফিরে শোবার ক্ষমতা নাই । আমি বন্ধন-দশাতে অস্থির হয়ে, রাত দিন কেবল কেঁদে কেঁদে চক্ষের জলে জলবৃদ্ধি করূচি। ও মা ! প্রাণ যায়, আর সহ হয় না । ব্ৰহ্মা । যমুনে! মহাপ্রলয় পৰ্য্যন্ত তোমাকে এই অবস্থায় থাকৃতে হবে। তুমি এতক্ষণ ছিলে কোথায় ? যমুনা। এলাহাবাদ হইতে সম্প্রতি এখানে এসে পোলের (ব্রিজের ) তলায় একটি গহবর প্রস্তুত ক’রেছি। তথায় ব’সে রাত দিন কেবল কাদি। কোন স্থানটা ভগ্ন হ’লে আমাকে আঘাত সহ করতে হবে, এই ভেবে আমার চোখে ঘুম, পেটে ভাত নাই ! ব্ৰহ্মা । দেখ দিদি ! তোমার দাদা শমন আমার মনুষ্যগণের উপর বড় অত্যাচার করেন, সেই জন্তই তাদের দ্বারা তোমার এ অবস্থা