আগ্রা V٩عر ব্ৰহ্মা। দেয়ালে যে বৃক্ষলতা এবং ফলপুপ সকল রহিয়াছে, প্রথমে সত্য বলিয়া আমার ভ্রম হইছিল। বরুণ ৷ এক সময়ে এই সমস্ত বৃক্ষলতা ও ফলপুষ্প হীরা ও মণি মুক্ত দ্বারা সুসজ্জিত ছিল। মহারাষ্ট্রীয় দস্থ্যর সেই সমস্ত হীরা ও মণিমুক্ত প্রাচীর হইতে উঠাইয়া লইয়া গিয়াছে। সকলে মসজিদ মধ্যে প্রবেশ করিয়া আশ্চর্য্যের সহিত চারিদিকে চাহিতে লাগিলেন এবং একটি কবর দেখিয়া ইন্দ্র কহিলেন “বরুণ ! এ স্থানটা কি?” বরুণ। ইহাকে মমতাজমহল কতু । এই স্থানে জাহাঙ্গীর বাদসাকে কবর দেওয়া হয় । r ব্ৰহ্ম । ওদিকে যে কবর দেখা যাচ্চে, উহা কাহার, এবং তাজমহল নিৰ্ম্মাণের কারণ কি ? و ه. . . . . . . . .ه বরুণ। ওদিকের কবরট সাজাহানের প্রিয় বেগম মস্তাজের । একদা তিনি সম্রাটের সহিত তাস খেলিতে খেলিতে কহেন “নাথ ! আমি ম’লে তুমি কি ক’বে? তাহাতে সম্রাটু প্রত্যুত্তর দেন “প্রিয়ে! তোমাকে এমন স্থানে কবর দেব যে, পৃথিবীর মধ্যে সেই স্থান সকলেই জানিবে” বলিয়া তাজমহল নিৰ্ম্মাণ করাইতে আরম্ভ করান। ইহার নিৰ্ম্মাণসময়ে অনেক রাজ সাহায্য করিয়াছিলেন। জয়পুরের রাজা অনেক উৎকৃষ্ট প্রস্তর দেন । সে সমস্ত ৮০ ক্রোশ রাস্ত হইতে গাড়ী করিয়া আনা হয় । নারা । ইহার ভিতর আর কি আছে ? বরুণ। মুরজাহানের কন্তু আজব জা,—যাহার সহিত সাজেহান বাদসার বিবাহ হয়, তাহাকেও এই স্থানে কবর দেয়। তাজের সংলগ্ন উদ্যান বড় চমৎকার । বাগানের মধ্যে যাইবার রাস্তার উভয়দিকে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট ৮৩টা জলের ফোয়ার আছে। ইহার পূর্বদিকে অনেকগুলি মসজিদ এবং অপর দিকে অনেক ধ্বংসাবশেষ অট্টালিকার প্রাচীর ইত্যাদি দেখিতে পাওয়া যায়। এখানে একট মাৰ্ব্বেল প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত সেতু আছে ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।