কানপুর । \లసి উষ্ঠান এবং বাঙ্গল দেখিতে দেখিতে নগরমধ্যে প্রবেশ করিলেন। একটি দোকানে বাস স্থির হইল, তথায় কিয়ৎক্ষণ বিশ্রামের পর সকলে স্নানার্থ সতীচোঁড়ার ঘাটে বাইয়া উপস্থিত হইলেন। উপস্থিত হইয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন “বরুণ ! এ ঘাটের নাম সতীচোড়ার ঘাট হইল কেন ?” বরুণ। পূৰ্ব্বে এই ঘাটে অনেক সতী মৃতপতি সহ সহমৃতা হইতেন, এই জন্ত ইহার নাম সতীচোঁড়ার ঘাট হইয়াছে। ব্ৰহ্মা। সহমৃতা হইতেন কেন ? - বরুণ। ভারতের অনেক স্থানে স্বামীর মৃত্যু হইলে স্ত্রীলোকেরা আর বিবাহ করিতে পারে না, তাহাদিগকে আজীবন পতিবিরহানলে দগ্ধ হইতে হয় । এ কারণ সতীর নিজে নিজেই মৃত পতিকে কোলে লইয়া প্রজ্বলিত চিতারোহণপূর্বক প্রাণ পরিত্যাগ করিয়া চিরকাল দগ্ধ হওয়ার হাত হইতে নিস্তার পাইতেন । ব্ৰহ্মা • আহা ! আমার সোণার ভারত সতীত্বের আকর। বরুণ ! কলিতেও কি এমন সতী আছে ?—অদ্যাপি কি সতীর পতিবিরহ-অনলে প্রাণ পরিত্যাগ করেন ? বরুণ। অনেক দিন পর্য্যন্ত ঐ সহ-মরণ-প্রথা প্রচলিত ছিল, পরে ংরাজ রাজপ্রতিনিধি লর্ড বেন্টিঙ্ক ঐ ভয়ানক হত্যাকাও রহিত করেন। ব্ৰহ্মা । ভয়ানক হত্যাকাও কিসে ? বরুণ। ইদানীন্তন স্ত্রীলোকের অতি অল্প বয়সে বিধবা হইতে লাগিল, এবং তাঙ্গদের আত্মীয় স্বজনও অত্যন্ত অন্তায় আচরণ-পূৰ্ব্বক তাহাদিগকে দগ্ধ করিত্বে লাগিলেন, দেখিয়া গবর্ণরের সরল হৃদয়ে দয়ার উদ্রেক হওয়াতে তিনি সতীদাহ নিবারণ করেন. - ব্ৰহ্মা। এ কাজটা শুভ কাজ স্বীকার করি, কিন্তু ধৰ্ম্মশিক্ষার অভাব হইলে ইহাতে ব্যভিচার-দোষের বৃদ্ধি হইতে পারে। ঘাটে এ মন্দিরটা কিসের ৯
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।