● দেবগণের মর্ত্যে আগমন বরুণ। মাকাল ঠাকুরের ! ব্ৰহ্মা। মাকাল ঠাকুর কি ? ইন্দ্র । ঠাকুরদাদা ! আজি মর্ত্যে এসে সব ভুলে গেলেন। বরুণ । ই, উনি এক্ষণে কলিকাতার হাক বাৰু সেজেছেন। নারা । সে কি-রকম ? বরুণ। কলিকাতার অনেক বাবু পল্লীগ্রামের সব জানেন অথচ মধ্যে মধ্যে স্থানবিশেষে দ্যাক সেজে ধান গাছ দেখে জিজ্ঞাসা করেন “এ সব কিসের গাছ ?” তাহাতে যদি কেহ উত্তর দেয় “যে ধানের চাউল খেয়ে এত বড় হয়েছে, এ সেই ধান-গাছ ।” অগ্নি হেসে বলেন “ঠাট্টা কর কেন ভাই, ধানগাছ কি চিনিনে—তার মস্ত মস্ত গাছ, রাঙ্গ রাঙ্গ ফুল। গাছের গুড়িতে তক্ত হয়।” তেমনি ঠাকুর-দ। আমার চিরদিন মাখাল ঠাকুর মৎস্তজীবীদিগের উপাস্ত দেবতা জেনেও জিজ্ঞাসা করছেন, মাখাল ঠাকুর কে ? ব্ৰহ্মা। মরুক গে, আমার ভুল হয়েছে। ওদিকের ওঘাটের মাম কি ? বরুণ। উহা বিহারিলালের ঘাট। ঐ ঘাটে অনেকগুলি দেবমন্দির আছে। সকলে স্নান আহ্নিক সমাপনস্তে বাসায় আসিতেছেন, এমন সময়ে নারায়ণ একটা গৃহে দুর্গার প্রতিমূৰ্ত্তি দেখিয়া কহিলেন “বরুণ ! কানপুরেও বাঙ্গালী আছে ?” বরুণ। কেমন ক’রে জানলে ? নারা । ঐ দেখ । বরুণ। ঐ মূৰ্ত্তি যে বাঙ্গালীর প্রতিষ্ঠিত, নিশ্চয় কি ? হিন্দুস্থানে কি হিন্দু নাই, না হিন্দুস্থানীরা দেবদেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি পূজা করে না ? নারা। হিন্দুস্থানে হিন্দু আছে স্বীকার করি এবং হিন্দুস্থানীরা দেবদেবীর প্রতিমূৰ্ত্তি পূজা করে সত্য; কিন্তু পরিষ্কার গঠন বাঙ্গালী ভিন্ন অপরের দ্বারা হওয়া অসম্ভব । আমাকে এক প্রাস্ত হইতে অপর প্রান্ত
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৬৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।