কানপুর 어 বরুণ। তুমি যা ব’লচে সত্য । ইহা একটী কলিকাতার বাবুর প্রতিষ্ঠিত। তিনি কলিকাতা হইতে কারিগর আনাইয়া এই মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । ইহার পর দেবগণ বাসায় আসিয়া উচ্ছে আলু ভাতে ভাত এবং বুটের ডাল রাধিয়া আহার করেন এবং আহারান্তে কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করিয়া সকলে নগর ভ্রমণে বহির্গত হন। পথে যাইতে যাইতে বরুণ কছিলেন “পিতামহ । ওটা কি বলুন দেখি ?” ব্ৰহ্মা। ব’লতে পারি নে। বরুণ। কট্রলিখার খাল (লাহোর ) । উহা বিজ্ঞানবিদ কটুলি খনন করাইয়া হরিদ্বার হইতে কানপুর পর্য্যন্ত আনিয়াছিলেন । কেন, স্মরণ নাই ? হরিদ্ধারে ত আপনাকে দেখাইয়াছি। ব্ৰহ্মা—“হঁ্যা হ্যা—বিস্কৃত হইয়াছিলাম।” এই কথা বলিয়া সকলে ময়দার কুলঘরের নিকট,যাইয়া উপস্থিত হইলেন। ইন্দ্র। ঠাকুরদা ! মৰ্ত্ত্যে এসে যা দেখছেন, যা শুনচেন, তাতেই আশ্চৰ্য্য হোচ্চেন। বুড়ে হয়ে উছার বুদ্ধিভ্রংশ হইয়াছে, নচেৎ স্বয়ং এই বিশ্বসংসার স্বষ্টি করিয়া মনুষ্যকৃত সামান্ত সামান্ত কল-কারখানা দেখে এত বিস্মিত হইবেন কেন ? ব্ৰহ্মা । এ তোমার অন্যায় কথা ভাই । বিবেচনা কর, এক ব্যক্তি একটি বাগান নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাহাতে নানাবিধ ফল ফুলের গাছ স্বহস্তে রোপণ করিল। কালক্রমে বৃক্ষগুলি বৃহৎ হইলে চারিদিক্ হইতে নানাবিধ কীট পতঙ্গ এবং পশু পক্ষী আসিয়া আশ্রয় লইতে লাগিল, মধুমক্ষিকারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গাছে মৌচাক এবং বাবুই পক্ষীতে তালগাছে কুলায় নিৰ্ম্মাণ করিল। এখন বাগানের মালিক কি স্বহস্তে নিৰ্ম্মিত বাগান বলিয়া মৌচাক দেখিয়া আশ্চৰ্য্যান্বিত হইবে না ? না—বাবুই পক্ষীর বাসা দেখিয়া বাহবা দিবে না ? যাহা হউক, কলঘরে অনেকগুলি লোক প্রতিপালন হইতেছে ।
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।