পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষেী -- 어업 বরুণ। ঠাকুরদা, যা বল্লেন সত্য ; উচ্চার নিঃসন্তে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতকে টাকা খাইয়েছে । কারণ, আমি বেশ জানি—আজ কাল মর্ত্যে টাকায় না হয় এমন কাজ নাই। ক্রমে টিকিট দিবার ঘণ্টা দিল । দেবগণ ব্যস্তসমস্ত হইয়া গাত্রোথান করিলেন। তখন ব্ৰহ্মা কায়স্থ-যাত্রীকে কহিলেন, “দেখ বাপু, তুমি আমার বাক্য ব্ৰহ্মার বেদ-বাক্য বিবেচনা করিয়া যেখানে যত কায়স্থ দেখিবে বলিও—কানপুরে এক বুড়ো বামুন ব’লে গেল ‘কায়স্থের বর্ণসঙ্কর শূদ্র । অতএব এ বিষয়ে বেশী প্রমাণ দুিবার আবগুক করে না ।” এই বলিয়া সকলে ষ্টেশনের মধ্যে প্রবেশ বর্ণরলেন এবং লক্ষেীয়ের টিকিট লইয়৷ গাড়ীতে উঠিয়া বসিলেন। ট্রেণ নির্দিষ্ট সময়ে তাহাদিগকে লক্ষেীয়ে পহুছাইয়া দিয়া চলিয়া গেল। * নগরে প্রবেশ করিয়া ইন্দ্ৰ কহিলেন, “বাং ! কোথা হ’তে এসে আমরা অমরাবতীতে উপস্থিত হইলাম। এখানে রেলের রাস্তাই বা এর মধ্যে কে করিল এবং মর্ত্যলোকের এত পুষ্পরর্থই বা কোথা হইতে জুটিল ?” বরুণ হাস্ত পূৰ্ব্বক কহিলেন, “ইন্দ্র । নগর দেখে তোমার ভ্রম হইতেছে, এ অমরাবতী নহে। এ স্থানের নাম লক্ষেী । রাজা ঐরামচন্দ্রের ভ্রাত৷ লক্ষ্মণ এই নগর নিৰ্ম্মাণ করেন বলিয়া ইহার নাম লল্পেী হইয়াছে।” এই বলিয়া সকলে লাইনের উপরিস্থ পোল পার হইয়া, এক্কা . গাড়ীতে আরোহণ করিলেন এবং চতুর্দিকে একদৃষ্টে চাহিতে চাহিতে জয়গঞ্জের মধ্যে যাইয়া উপস্থিত হইলেন। ইন্দ্র। বরুণ! রাস্তার উভয় পার্থে এই যে উত্তম উত্তম অসংখ্য অট্টালিকা দেখা যাচ্চে, এ স্থানের নাম কি ?

  • এই স্থানদিয়া অাউদ এও রোহিলখণ্ড রেলওয়ে গিয়াছে।