পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о দেবগণের মর্ত্যে আগমন বহিৰ্ব্বটিতে উপস্থিত হইয়া নারায়ণ দেখেন, ব্ৰহ্মা তাকিয়া ঠেশ দিয়া বসিয়া আছেন । দেবরাজ আলবোলায় ধূমপান করিতেছেন। সদাশিব ভুড়ি উচু করে পাইচারি করিতে করিতে বলিতেছেন, “ভাল ভেবে কাশী নিৰ্ম্মাণ ক’লেম—কপালক্রমে মন্দ হ’ল ! তখন ভেবেছিলাম, কাশীই হ’ল মর্ত্যে আমার ফরাসডাঙ্গ অর্থাৎ কেহ কথন পাপ ক’রে এখানে পালিয়ে এলে উদ্ধার হবে! এখন দেখছি—হয়ে দাড়িয়েছে ফ্যালসানী গারদ । কি সৰ্ব্বনেশে কলের গাড়িই স্বষ্টি হ’ল । রাত দিন কামাই নেই, ফোস ফোস শব্দ ক’রে যত রাজ্যের পাপিষ্ঠ গুলোকে নামিয়ে দিয়ে যাচ্চে। ঐ লক্ষ্মীছাড়া গাড়ির জন্ত ফরসা কাপড় প’রে বাহিরে যাবার যে নাই, পাথুরে কয়লার ধোয়ায় এক দিনেতেহ ময়লা হয়। পূৰ্ব্বে রেলের রাস্ত একদিকে ছিল, আজ কা’ল আবার দুই দিক্ দিয়ে সৰ্পের মত একে বেঁকে এসে কাশীকে যেন গ্রাস ক’ৰ্বতে ব’সেছে । পূৰ্ব্বে এখানে ঘি ময়দা বিলক্ষণ সস্তা ছিল । ঐ হতভাগা গাড়ি এখানকার লা ওখানে, ওখানকার তা এখানে এনে সকল দ্রব্যেই যেন আগুন লাগিয়ে দিয়েছে । আমার কাশীতে চোর, ছ্যাচোড়, বদমায়েস্ এত জুটেছে যে, রাত্রিতে নির্বিবঘ্নে কাহারো ঘুমাবার যে নাই। নগর, মহলে মঙ্গলে বিভাগ করা ; রজনীতে প্রত্যেক মহলের দ্বার বন্ধ থাকে ; তথাপি তার মধ্যে আশ্চৰ্য্য চুরি, ভ্রণহত্য, প্রাণিহত্য কাশীতে প্রত্যহ যে কত ঘট্‌চে, তার আর সংখ্যা নাই । সৎপাত্রে অন্নদান শাস্ত্রসন্মত ; কিন্তু আমার ভাগ্যে অসৎ পাত্রই জুটুছে । যত বেটা মায়ে-তাড়ানো বাপে-খেদানে গুলিখোর গেজেল দণ্ডী সেজে দিন দিন এসে থালা থালা ভাত মেরে যাচ্চে ।” ব্ৰহ্মা ! কত লোক প্রত্যহ খায় ? শিব। তার ঠিক নাই, এখানে এলে ত আর ফিরাব না ; ঐ জগুই কাশী নিৰ্ম্মাণ করা। তবে রেধে রেধে মাগী না একটা রোগ ক’রে বসে ! এই সময় পাশ্বের ঘরের দ্বারে ঈষৎ আঘাতের শব্দ হইল। শিব দ্রুত