পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`` 6 দেবগণের মর্ত্যে আগমন পদ্মযোনি ঘাড় হেঁট করিলেন, আর র্তার মুণে কথা নাই। নারায়ণ ও ইন্দ্রের তদর্শনে মুখ চাওয়া-চাওয়ি ক’রে হাসি দেখে কে ! এই সময়ে যুবতী গানের দ্বিতীয় চরণ আরম্ভ করিল— “দেখ কৃষ্ণ অবতারে, নিজে মাতুলানী হরে, ইন্দ্র গুরু-পত্নী হোরে সহস্ৰ-লোচন ॥” দেবরাজ ও নারায়ণ ঘাড় হেঁট করিলেন। তখন বরুণ দেখেন, এ মজা মন্দ নয় । তিনি আপনা আপনি একটু হেসে নিয়ে কহিলেন, “চলুন পিতামহ, বাসায় যাই, রাত হয়েছে।” “হঁ্য চল” বলিয়া ব্ৰহ্মা কহিলেন, “দেখ বরুণ, এদের চোক ফুটেছে।” বরুণ। আজ্ঞে, ব্রিটিশ শাসনে এদের চোক কাণ অনেক দিন ফুটেছে। কেবল হাত না থাকাতেই প্রাণে মরে আছে। দেবতারা এখান হইতে যাইয়া পূৰ্ব্বপরিচিত সুড়ঙ্গ দিয়া বিশ্বেশ্বরের বৈঠকখানা-গৃহে উপস্থিত হইলেন। তখন সদাশিব দ্বারে দাড়াইয়। দেবগণের জন্য অপেক্ষা করিতেছিলেন । গৃহমধ্যে সন্ধ্যা-আহ্নিকের স্থান এবং জলখাবার সাজান ছিল। নারায়ণ আর বহিৰ্ব্বাটতে অপেক্ষা করিলেন না। তিনি ঘরের ছেলের মত মস মস শব্দে অন্দরে প্রবেশ করিয়া “বো” “বেী” শব্দে চীৎকার আরম্ভ করিলেন । অন্নপূর্ণ দ্রুতগতি আসিয়া কহিলেন “এস ভাই এস । বলি জল খেতে কি মনে নাই ? আমি যেমন ঠাকুরপোর কাছে বোসতে, ঠাকুরপোর মুখের গল্প শুনতে ভালবাসি, ঠাকুরপোর তেমি পায়। ভারি হয়েছে।” নার । কাশী এলাম, চারিদিক দেখবে না ? অন্ন। দেখতে বারণ করূচিনে, বলি একদিনে কি ঝোল পালাবে ? নারা । ওঁরা দেখুবার জন্ত ব্যস্ত হ’লেন । অন্ন। ওঁরা আর তুমি সমান ! তুমি ত সেদিন মরে বেঁচেচে । শরীরে আর কি আছে বল ত? একবার আয়না ধ’রে দেখন, বুকের