>>:R দেবগণের মর্ত্যে আগমন নারা । ও বেী ! বঁাশী বাজান ছেড়ে দিল্লচি। ডাক্তারের বলে “ওতে র্দাত পড়ে যায়, যক্ষ্মারোগ জন্মায়, আর শিরঃপীড়ার স্বষ্টি হয়। আজকাল বেহাল শিখতে আরম্ভ করেছি। তোমার যদি নিতান্তই শোল্বার সখ হয়ে থাকে, না হয় বলে, দাদার শিঙ্গেটা এনে ফু দিই। অন্ন। ক্ষান্ত হও ভাই, ঐ শিঙ্গের শব্দে আমাকে অস্থির করে তুলেছে। আজকাল আবার কি বোল ধরেছেন, জান ?—বলেন “পয়সা দেও, রবরের একটা তুবড়ী কিন্বো।” রা। তুবড়ী কি ? অল্প। ঐ যে সাপুড়ের “পো” “পো” শব্দে ধাজিয়ে বেড়ায় । ঠাকুরুপে, তুমি হিং খাও ? নারা । কেন বল দেখি ? অন্ন। ঘরে চাটি খাড়িমুমুরি ছিল, ঠিং ফোড়ন দিয়ে একটু ভুনা খিচুড়ী রেধে দিতাম। নারা। ন ধোঁ, আমি ঠিং খাইনে । একে তুর্গন্ধ, তাতে অত্যন্ত গরম। অন্ন। তুমি দুৰ্গন্ধ ব’লে একটু হিং খাও না ; কিন্তু এখনকার বাবুরা পেয়াজ রসুন খেয়ে ভুট ক’ল্লে। বাবুর সখ ক’রে পেয়াজের নাম রেখেছেন “গরম মসলা” । নারা। মাগীরেও বোধ হয় পেয়াজ থেতে শিখেছে ? অন্ন। কেন ? - নারা। না হ’লে মিন্সেদের এমন কি সাহস ? ওর গছে পালায়। ধেী, একট বড় কৌতুক দেখুলাম—তোমার সপত্নী গঙ্গ একপার না একপার ভেঙ্গে থাকেন। বিশেষতঃ যে পারে জল অধি পারেই তার উপদ্রব বেশী। কিন্তু কাশীতে র্তার সে উপদ্রব নাই । এতদিন তোমার সোণার কাশীর অৰ্দ্ধেক আন্দাজ উদরস্থ ক’রে ব’ল অন্ন। কাশী না ভাঙ্গার একটা কারণ আছে। যখন গঙ্গা
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৩৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।