কাশী >>Q বাল্যাবস্থা হ’তেই অত্যন্ত শিবভক্ত ছিল । সে লেখাপড়ায় মন না দিয়া রাত দিন এক মনে শিবেরই ধ্যান করিত । তাহাতে যক্ষ রাগান্বিত হইয়া নিজ পুত্রকে গৃহ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দেয় । বালক র্কাদিতে কাদিতে কাশীতে আসিয়া এই লিঙ্গ স্থাপন পূর্বক আরাধনা করিতে থাকে। পরিশেষে শিব দেখা দিয়া এই বর দেন—“অদ্যাবধি তোমার নাম দণ্ডপাণি হইল । লোকের মৃত্যু হইলে তুমি আমার নিকট লইয়া যাইবে, আমি উদ্ধার করিব। এই দণ্ডগাছটা দিতেছি গ্রহণ কর, অহঙ্কারী ব্যক্তিদিগকে এই দণ্ড দ্বার। আঘাত করিয়া কাশী হইতে তাড়াইয়া দিবে এবং জ্ঞানীদিগকে ঘত্বের সহিত কাশীতে রাখিবে। কেহ অগ্ৰে তোমার পূজা না করিলে তাহার পূজা আমি গ্রহণ করিব না । তোমার প্রতিষ্ঠিত এই শিবের নাম অদ্য হইতে দণ্ডপাণীশ্বর হইল।” ইন্দ্র। কই এখন ত আর দণ্ডপাণি পাপীদিগকে তাড়াইতে পারেন না ! * বরুণ । কলির শাসনে কি কাহারে কিছু করিবার যে আছে ? যেমন ইংরাজ শাসনে কোন রাজা রাজড়ার ট্যা ফের্ণ করিবার যো নাই, তেন্নি কলির শাসনেও কোন দেবতার মাথা তুলিবার ক্ষমতা নাই। নারা । বাপ ! কেবল শিবমূৰ্ত্তি, অন্ত দেবতার এখানে কোন্ধে পাবার যো নাই । বরুণ। এ তোমার অন্যায় কথা । বৃন্দাবনে বটে অন্ত দেবতার কোন্ধে পাবার যো নাই ; এখানে ও কথা বলা শোভা পায় না। কারণ, এই কাতে দ্বর্গ, গণেশ, পরেশনাথ, আদিকেশব প্রভৃতি তেত্ৰিশ কোটা দেবতার প্রতিমূৰ্ত্তি আছে। দেবগণ অসংখ্য অট্টালিক, দোকান, বাজার হাট দেখিতে দেখিতে রাস্ত দিয়া চলিলেন। তখন স্থৰ্যদেব সম্পূর্ণভাবে কাশীতে দেখা দেন নাই। কেবল তিনি পূৰ্ব্ব দিক্ হইতে উকি মারিতেছিলেন। তাহার মুখের জ্যোতি
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।