পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবগণের মর্ত্যে আগমন "לג כ দেবতারা অবাকৃ। "য়্যা এ কি ! কাশীতে কি এইপ্রকার বদমায়েসদিগের আশ্রম ।” - বরুণ। পিতামহ ! কেদারনাথের মন্দির দেখুন। ব্ৰহ্মা। কেদারনাথের উৎপত্তির কারণ বল । বরুণ। এক খিচুড়ি থেকে বামুন অত্যন্ত খিচুড়ি ভালবাসিত । এমন কি, প্রত্যহ তাহার খিচুড়ী না হ’লে আহার হইত না । লোকটা সিদ্ধপুরুষ ছিল । কেদারনাথের প্রতিও তাহার আন্তরিক ভক্তি ছিল। সে প্রত্যহ খিচুড়ি রেধে এখান হইতে কেদারনাথ তীর্থে যাইয়া নিবেদন করিয়া দিয়া তবে আহার করিত। একদিন অসুখ বোধ হওয়ায় কিছু আহার করিল না, পরে অপরাহ্লে ক্ষুধার উদ্রেক হইলে চাটি চেলে ডেলে চাপাইয়া দেয় এবং সিদ্ধ হইলে পাতে ঢালিয়া কাদিতে কঁাদিতে বলে, “প্রভো কেদারনাথ ! অবেলায় তোমার নিকট যাইয়া যে নিবেদন করা হইল না ; ঠাকুর ! এক্ষণে কি ক’রে ইহা আহার করি ?” এই প্রকারে চক্ষু মুদিয়া কাদিতেছিল, হঠাৎ চক্ষু মেলে দেখে—খিচুড়ি জোমে পাথর হচ্চে। তখন “হায় ! এ কি হ’লো” বলিয়া চীৎকার করিতে আরম্ভ করিল। এই সময় দৈববাণী হইল “আমি তোমার খিচুড়িতে আবিভূত হইয়াছি, এজন্য উহা জমিয়া পাথর হইতেছে ; অদ্যাবধি আর তোমাকে কেদারনাথ তীর্থে যাইতে হইবে না ; এই পাথরের মধ্যেই আমি রহিলাম।” এখান হইতে দেবগণ একটী বাজারের মধ্যে উপস্থিত হইলেন এবং উভয় দিকের দোকানসমূহে শুপাকার বারাণসী শাড়ী, বিবিধবর্ণের ধুতি, উড়ানী, শাল, ফুলকাটা সতরঞ্চ, গালিচা, আসন, ঘটী, বাটী, হাতির দাতের চিরুণী দেখিতে দেখিতে চলিলেন । ব্ৰহ্মা একটা দোকান হইতে শালপাতে মোড়া এক ঠোঙ্গা নস্ত কিনিয়া লইলেন এবং ভাল কি না পরীক্ষার জন্ত একটু লইয়া নাসিকায় দিলেন। নারায়ণ কহিলেন “দেখি, আমাকে একটু দিন।” দেখা দেখি দেবরাজেরও ইচ্ছা হইল। তখন প্রত্যেকে নস্ত