১২০ ' দেবগণের মর্ত্যে আগমন উদ্রেক হইলে নিজ পিতা মাতার অন্বেষণে বাহির হয়, কিন্তু কুত্ৰাপি সন্ধান পায় না। তখন সে একমনে এক ধ্যানে শিবের আরাধনা করিতে থাকে । শিব সন্তুষ্ট হইয়া এই বর প্রদান করেন যে, অদ্য হইতে তোমার নাম বীর এবং তোমার প্রতিষ্ঠিত শিবের নাম বীরেশ্বর হইল । অপুত্ৰক ব্যক্তি এই শিবের পুজা করিলে পুত্রমুখ দেখিবে । দেবগণ বাসায় গিয়া দেখেন, সদাশিব চাকরের নিকট বাজারের হিসাব নিচ্চেন এবং “কালকের যে পয়সা দুটো তোর কাছে জমা ছিল, তা কি ক’বৃলি” বলিয়া ভৃত্যটকে ধমকাইতেছেন। তাহ দেখিয়া দেবরাজ চুপি চুপি বরুণকে বলিলেন “সদাশিব এখন আর আমাদের সে ভোলানাথ নহেন ; কাশীর জমিদারী পাইয়া অবধি খুব সেয়ানা হইয়াছেন।” বরুণ । লোকে ঠেকে শিখে ; উর্হাকে ঠকাইতে ত কেউ কগুর করে নাই । দেবগণ উপস্থিত হইলে নারায়ণ কহিলেন “মেজদ, ভাতের দেরী কত ?” “একটু বিলম্ব আছে। তোমরা ততক্ষণ স্নান করে জলটল খাও না” বলিয়া, সদাশিব ভৃত্যকে কহিলেন “দে রে, বাবুদের তেল এনে দে।” নারী ৷ জলটল খেতে আর বিলম্ব সয় না, চাটি ভাত পেলেই খেয়ে এখান হ’তে প্রস্থান করি। শিব । বলক্ষণ, এর মধ্যে কি যেতে দিতে পারি ! তোমরা এসে অবধি এক দিন ভাল ক’রে খাওয়ান হ’ল না। আমি পোলাও খাওয়াব ভেবে রোজ রোজ চাকরকে বাজারে পাঠাচ্চি ; কিন্তু এমন দুরদৃষ্ট, এ পৰ্য্যন্ত একটা ভাল মাছ মিলিল না । ব্ৰহ্মা । না ভাই, তখন কৈলাসে গিয়ে একদিন ভাল ক’রে খাইও । আপাততঃ বিদায় দাও, সত্বর একবার কলিকাতা হতে ফিরে আসি । বাড়ীতে কোন অভিভাবক না থাকায় এক একবার এমি মনে হচ্চে যে, দূর কর, এইখান হ’তেই ফিরে যাই । -
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।