কাশী ১২১ শিব । আহা ! বাড়ী থেকে কখন প্রবাসে আসা অভ্যাস নাই বলিয়াই মনটা এত খারাপ হ’য়েচে, তা তাড়াতাড়ি কি ? এ পারে তো রাত দিনই গাড়ী চ'লচে । একটু বিশ্রাম করুন, অপরাহ্লে আপনাদিগকে আমি ট্রেণে তুলে দিয়ে আসবো” বলিয়া সদাশিব ভৃত্যকে কহিলেন “দেখ, দেওয়ানজীকে ব’লে আয়—সত্বর যেন একখান পারমিশন লেটার ষ্টেশনে সহ করতে পাঠান ।” নারায়ণ। পারমিশন লেটার কি ? শিব । ট্রেণ টাইমের সময় যাত্রী ব্যতীত অপরকে ষ্টেশনে এটেও করিতে দেয় না ; সে জন্য অপর কেহ সে সময়ে ষ্টেশনে যাইতে ইচ্ছ। করিলে তৎপূৰ্ব্বে একখানি ছাড়-পত্র স্বাক্ষর করাইয়া লইতে হয়। নারা । আপনি যে কয়টা কথা ব’ল্লেন, এর সমস্তই ইংরাজী । শিব। কি করবো ভাই, আজকাল যে বাঙ্গালা ভাষা, যাবনিক ভাষা পরিত্যাগ করিয়া ইংরেজী ভাষাতে নিজ কলেবর পুষ্টি করিতেছে। বাঙ্গালা ভাষায় যে পনর ভাগ ইংরেজী প্রবেশ করেছে ! নারা । আপনাকে এ সব শেখালে কে ? শিব । শেখাবে আর কে ? শুনে শুনেই শিখতে হয়েচে । আজকাল মাগীরে পর্য্যস্ত ইংরাজী শিখেছে। বিশেষতঃ আমাকে শিখিবার জন্তে তো কোন কষ্ট পেতে হয় না ; মন্দিরে বসেই অনেক শিখতে পাই । বাঙ্গল হ’তে বাবুর এসে সপাছক মন্দিরে উঠে পরস্পর যে কথাবার্তা কয়, সেইগুলি শুনি । কেউ বলেন “উঃ ! ট্রেণ জর্নিতে হোল নাইট কি কষ্টই হয়েছে।” কেউ বলেন “আজ আমরা এই স্থানে রেষ্ট নিয়ে নেকৃষ্ট মাণিংএ আপে যাব।” আবার কেউ বা বলেন “ভাগগি ওয়াইফকে সঙ্গে আনি নি, তা হ’লে তার বড় ট্রবৃল হতো।” আবার হয় তো আর একজন ব’ল্পেন “ওয়াইফকে প্রেন্থন্তান্ট দেখে এসেচি, সন্ হলো কি ডটার হলে টের পেলাম না।” *
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।