পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>** দেবগণের মর্ত্যে আগমন ক্রমে দেবগণ আহারাদি করিয়া অপরাহ্লে বিদায়ের সাজ পোষাক করিতে লাগিলেন । সদাশিব এই সময় প্রত্যেকের জন্য এক এক যোড়া ধুতি উড়ানী এনে নারায়ণের হস্তে দিলেন । নারায়ণ “আবার কাপড় কেন ?” “আবার কাপড় কেন ?” বলিয়া ব্যাগের মধ্যে পূরিয়া রাখিলেন এবং ব্যাগ বন্ধ করিয়া অন্নপূর্ণার নিকট গমন ও সাষ্টাঙ্গে প্রণাম পূৰ্ব্বক কহিলেন “বেী, তবে চ'ল্লাম।” অন্ন। সে কি ঠাকুরপো ! এ আসার চেয়ে তো না আসাই ভাল ছিল ; এমন মায়া বাড়াতে তোমায় কে শেখালে ? নারা । কি করি বেী, কেবল বড়দার জন্তেই আমাকে যেতে হ’চ্চে, নচেৎ আর কিছু দিন থাকুবার ইচ্ছা ছিল । অন্ন। আর কি দেখা হবে ? নারা। হবে বৈ কি ! কৈলাসে যাব। কিছুদিন পরে কন্ধি অবতার হব। অন্ন। দেখ এই পাঁচট টাকা তোমার বড়দাদাকে দিয়ে বোলো— “বে তার মাকে মাচ খেতে দিয়েছেন। কোলকাতায় গিয়ে খুব সাবধানে থেকে ।” নারায়ণ বহিৰ্ব্বাটীতে উপস্থিত হইলে দেবতারা “ব্যোম হর হর” শব্দ করিয়া যাত্রা করিলেন । যাইতে যাইতে এক স্থানে উপস্থিত হইয়া ইন্দ্র কহিলেন, “বরুণ, সন্মুখস্থ ও শিব এবং কুণ্ডের নাম কি ?” বরুণ। ঐ শিবের নাম অগস্ত্যেশ্বর এবং কুণ্ডের নাম অগস্ত্যকুণ্ড । এই কুণ্ডে স্নান করিয়া শিবপূজা করিলে সৰ্ব্বপাপ হইতে বিমুক্ত হওয়া যায়। এই সময় রাস্ত দিয়া তৈলঙ্গস্বামীকে যাইতে দেখিয়া ইন্দ্র কহিলেন “ও লোকটা কে গেল ?” বরুণ। উছার নাম তৈলঙ্গস্বামী । উছার অনেকগুলি অমামুষিক ক্ষমতা আছে। তদ্ভিন্ন উহার অনেকটা ব্ৰহ্মজ্ঞানও লাভ হইয়াছে। কথিত আছে যে, সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে একজন ইংরাজ রাজপুরুষ কাশীর সমস্ত