কাশী ১২৫ নারা । বরুণ, তুমি ব’ল্পে “ব্যাসকাশীতে মৃত্যু হইলে গাধা হয়।” কিন্তু রামনগরে যেরূপ ঘন ঘন বসতি দেখা যাচ্চে, ধোপাদের ত গাধার অপ্রতুল থাকবে না ! বরুণ। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে কাশীতে নিয়ে পালায়, ওখানে মরুতে দেয় না। ইন্দ্র । চল একবার রামনগর দেখে আসি । ব্ৰহ্মা। এখন না, চল আগে কলিকাতা দেখে আসি । নারা । না ! একে নিয়ে বড় সুবিধা হ’ল না, কলিকাতা কলিকাত৷ ক’রে বণ্ড বিরক্ত করতে লাগলেন । বরুণ । উহার কথা ছেড়ে দেও। উইার জন্তে বৃন্দাবনে আমি শেঠেদের কীৰ্ত্তি দেখাতে ভুলে গেলাম । যে শেঠেদের নিয়ে বৃন্দাবন, তাহাদের নাম পৰ্য্যন্ত তথায় আমার উল্লেখ করা হয় নাই । ব্ৰহ্মা । যাদের সোণার তালগাছ ? বৃন্দাবনে তাদের আর কি আছে ? আমি ভাই, বৈষ্ণবী মাগীরে বিরক্ত করায় সত্বর পালিয়ে এলাম। তুমি শেঠেদের বিষয়ে গল্প কর।’ বরুণ । তখন সন্ধ্যা হওয়ায় দেবালয় প্রভৃতি দেখান হয় নাই । র্তাঙ্গদের দেবমন্দিরে সুবর্ণের হস্তী, অশ্ব ইত্যাদির প্রতিমূৰ্ত্তি বিরাজ করিতেছে । মন্দিরের সন্নিকটে সুবিস্তৃত গৃহ । প্রাচীরের চারি কোণে চারিট প্রস্তরনিৰ্ম্মিত গরুড়ের প্রতিমূৰ্ত্তি আছে । পুষ্পোপ্তান, পুষ্করিণী ও কৃত্রিম প্রস্রবণ দ্বারা ঐ গৃহটর শোভা আরো বৃদ্ধি করা হইয়াছে। গৃহমধ্যে কাকাতুয়, হীরামন প্রভৃতি নানা বর্ণের নানা পক্ষী এবং নেপাল প্রভৃতি স্থানের মহিষাদি জন্তু সকল আনিয়া পোষা হুইয়াছে । দেবালয় প্রস্তুত করিতে শেঠদিগের বিপুল অর্থব্যয় হইয়াছিল। লক্ষ্মেীনিবাসী সাবিহারিলালেরও বৃন্দাবনে অনেক কীৰ্ত্তি আছে। রাধারমণের মন্দিরটা তাহার সাক্ষ্যস্থল। ব্ৰহ্মা । “আহা ! শেঠ মহাত্মাদিগের কীৰ্ত্তিকলাপ না দেখায় মনে বড়
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।