বৈকুণ্ঠ আহারান্তে লক্ষ্মী নিজ কক্ষে পালঙ্কে বসিয়া আলুলায়িত কেশে কাপেট বুনিতেছিলেন। তাহার পরিধানে রেলপেড়ে শাট, হস্তে হাঙ্গরমুখে৷ ডায়মন্ কাটা বলয়, কর্ণে দুটা সুন্দর এয়ারিং, গাত্রের বর্ণ বস্ত্রমধ্য দিয়া ফুটিয়া বাহির হইতেছিল। বিম্বেষ্ঠ স্বাভাবিক লাল, তাহাতে আবার তাম্বুল চৰ্ব্বণ করাতে আরো টুক্টুক্ করিতেছিল। নারায়ণ নিকটে বসিয়া তাকিয়া ঠেস দিয়া আলবোলার নল মুখে “খবরের কাগজঃ দেখিতেছিলেন এবং মধ্যে মধ্যে নারায়ণীর বদন প্রতি চাহিয়া কি ভাবিতেছিলেন। এই সময়ে ভৃত্য আসিয়া কহিল “দেবরাজ ও বরুণ ঠাকুর আপনার নিকটে আসিয়াছেন - & নারায়ণ এ সংবাদে কিছু বিষন্ন হইলেন এবং ছত্যকে বিদায় দিয়া নারায়ণীকে কহিলেন “প্রিয়ে! বোধ হয়, স্বর্গে পুনরায় অমুরের উপদ্রব আরম্ভ করিয়াছে! তুমি কিঞ্চিং অপেক্ষা কর, আমি তৃত্বানুসন্ধান কুরিয়া আসি” বলিয়া দ্রুতপদে প্রস্থান করিলেন এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রত্যাগমন করিয়া কহিলেন “প্রিয়ে! আমাকে বিদায় দেও, মর্ত্যে যাইতে হইবে।” এই কথা শুনিয়া নারায়ণী কহিলেন, “কেন—এখন মর্ত্যে কেন ?— তোমার তো কন্ধিরূপে জন্মগ্রহণ করিবার বিলম্ব আছে।” নারায়ণ । একবার কোলকেত দেখিতে ও কলের গাড়ীতে চড়িতে বড় সাধ হইয়াছে,—বেড়াইতে যাব । “পাচ জনেই তোমাকে খারাপ কল্পে” বলিয়া নারায়ণী হস্তস্থিকার্পেট দূরে নিক্ষেপ করিলেন এবং চক্ষু রক্তবর্ণ করিয়া বলিতে লাগিলেন— “ছিঃ কালামুখ মর্ত্যে যাইতে, মর্ত্যের নাম করিতে তোমার কি ভয় হয় ন-তোমার কি লজ্জা হয় না ? ভাব দেখি, সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর যুগে *ানেগ্নিৰে কত চলাচলি কুরেছ এবং আমাকেও কত কষ্ট দিয়েছ!
পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।