পাতা:দেবগণের মর্ত্ত্যে আগমন.djvu/২৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.)vరి8 দেবগণের মর্ত্যে আগমন দেখিতে চলিলেন । যাইবার সময় দেখেন, একজন সাহেব ও তৎপশ্চাৎ কতিপয় বাঙ্গালী রাস্তা দিয়া চলিয়াছে। অনুসন্ধানে জানিলেন, সাহেব একজন পাদরি, আর বাঙ্গালী কয়জন খৃষ্টধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়া অন্ধকার হ’তে আলোয় এসেছে । বাঙ্গালী কয়জনের অর্থাভাবে গাত্রবস্ত্রগুলি মলিন, শরীরেও তাদশ লাবণ্য নাই। প্রত্যেকের কপোলে দুই চারি গাছি শ্মশ্র বিরাজিত, বগলে বটতলা অঞ্চলে ছাপান চট চট পুস্তক ; হঠাৎ দেখিলে বোধ হয়, ফেরিওয়ালার বই ফেরি করিতে বাহির হইয়াছে। পুস্তক অকাতরে বিতরণ করা হচ্চে। নারায়ণ ছুটে গিয়া, “ওগো আমাকে একখান। বহি দাও” বলিয়। চাহিয়া লইলেন । বরুণ । কৃষ্ণ ! ফেলে দাও, ফেলে দাও ; দিয়ে প্রয়াগে মাথ৷ মুড়াও । খৃষ্টানী বহি কি বলে ছুলে ? জান, দেবতারা যদি জানতে পারেন, তোমাকে গোবর খাইয়ে প্রায়শ্চিত্ত করাবেন । নারায়ণ । এ কি খৃষ্টানী বই ? তা কে জানে! কা’ল রাত্রে তামাক বাধার কষ্ট হওয়াতেই বইখানা নিয়েছিলুম। ব্ৰহ্মা । না, তুমি ফেলে দাও । বরুণ, ওরা কি গঙ্গাস্নানে এসেছে ? বরুণ । আজ্ঞে না ; ঐ কর্তারা মেলার স্থানে প্রায়ই আসিয়া দেখা দেন, এবং হিন্দুধৰ্ম্মের নিন্দ করে লোকগুলোকে খৃষ্টান করবার চেষ্টা পান । দেবগণ কেল্লার মধ্যে প্রবেশ করিলে বরুণ কহিলেন, “এই কেল্লাটী নগর হইতে দূরস্থ ময়দানে অবস্থিত। দুই নদীর মিলিত কোণে ইহা নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। ওদিকে দেখুন—আকবর বাদসার রাজবাটী। ঐ বাট হইতে জলে নামিবার সিড়ি অদ্যাপি বর্তমান আছে । ঐ সিড়িতে বসিয়া পূৰ্ব্বে মোগল রমণীগণ স্নান করিতেন।” ইহার পর দেবতার। পাতালপুরী দেখেন। ব্ৰহ্মা অক্ষয়বট দেখিয়া বলিলেন, “গাছটা দেখে আমার সন্দেহ হ’চ্চে, বোধ হয় ইহার মধ্যে পাওীদিগের জয়াচরি আছে।”